বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনশাসনেস (ইসকন)-এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানিয়েছেন, এটি সরকারের ‘মূল এজেন্ডা’র অংশ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই প্রক্রিয়াধীন। আদালতের সামনে তিনি ইসকনকে একটি "ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন" হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি শীঘ্রই কার্যকর হতে পারে।”
নিষেধাজ্ঞার পেছনের কারণ
ইসকনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে যে এটি একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন, যা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য অনুসারে, এই সংগঠনের কার্যক্রম ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি ও সংবিধান লঙ্ঘন করছে।
ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব
এই বিতর্কের মধ্যেই কিছুদিন আগে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এটি দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে এই মতামত রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
ইসকনের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে মানবাধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তাদের মতে, ইসকন নিষিদ্ধ হলে দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চাপ আরও বাড়বে।
আগামীর দিকনির্দেশনা
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যদি ইসকনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তাহলে এটি দেশে ধর্মীয় সহনশীলতার পরিবেশে প্রভাব ফেলতে পারে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক মহলেও এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এই রিট পিটিশন এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা এবং ধর্মীয় নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয়, হাইকোর্ট এই রিটের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়।