বাবা মিঠুন চক্রবর্তী প্রথমবার হিন্দি সিনেমায় পা দিয়েই গোটা বলিউডকে নিজের ফ্যান করে নিয়েছিলেন। তাঁর ডিস্কো ড্যান্সার-এর স্টেপে নেচে উঠেছিল গোটা দেশ। তবে বাবার মতো সেই ম্যাজিক তৈরি করতে পারলেন না মিঠুন পুত্র নামশি চক্রবর্তী। পরিচালক রাজকুমার সন্তোষীর হাত ধরে বলিউডে ডেবিউ করলেও সেই সিনেমা সেভাবে দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর রাজকুমার সন্তোষীর রমকম সিনেমা ব্যাড বয় মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমার প্রোমো সামনে আসার পরই বোঝা গিয়েছিল এটা পরিচালকের হিট সিনেমা অজব প্রেম কি গজব কাহানি (২০০৯) ও ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো (২০১৩) এই দুই সিনেমার সংমিশ্রণে তৈরি একটি কমেডি ড্রামা। যার মজা দর্শক এর আগেই নিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: Nawazuddin Siddiqui: বিজ্ঞাপনে কেন বাঙালিদের অপমান? নওয়াজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কলকাতা পুলিশে
গত ২৮ এপ্রিল মুক্তি পায় নামশি চক্রবর্তী ও আমরীন কুরেশি অভিনীত ব্যাড বয়। তবে বক্স অফিসে এই সিনেমা সেভাবে কিছু ধামাল করতে পারেনি। দেশজুড়ে এই সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে পেয়েছে মাত্র ১-২টি শো টাইম। তাও সেভাবে সেই শোগুলিতেও দর্শকাসন ভর্তি হয়নি বলেই জানিয়েছেন মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। যার ফলস্বরূপ শুক্রবার মুক্তি পাওয়া এই সিনেমা বক্স অফিসে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে। বক্স অফিসে এই সিনেমা সংগ্রহ করেছে মাত্র ০.২৫ কোটি। যদিও নবাগত নামশি তাঁর সিনেমা প্রচার করার জন্য কম পরিশ্রম করেননি। তাঁর জীবনের প্রথম বলিউড সিনেমা, মিঠুন-পুত্র যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন দর্শকদের সিনেমা হলে নিয়ে যাওয়ার জন্য। নামসির মতো একইভাবে আমরিনেরও এটা প্রথম হিন্দি সিনেমা। তাঁকেও এই সিনেমার প্রচারে দেখা গিয়েছিল। তবে সপ্তাহান্তে এই সিনেমা বক্সঅফিসে সেভাবে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি।
মিঠুন-পুত্র নামশিকে নিয়ে যদিও এখনও অনেকের প্রত্যাশা রয়েছে। বলিউডে এতদিন সিনেমা পরিচালকদের সঙ্গে সহকারী পরিচালক বা প্রোডাকশন ইউনিটের হেল্পার হিসাবে কাজ করছিলেন। এবার সরাসরি অভিনয়ে নামলেন তিনি। এই সিনেমায় দেখা গিয়েছে আরও এক বাঙালি অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কেও। কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে এই সিনেমার প্রচারে আসেন নামশি ও আমরিন। প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজকুমার সন্তোষী ধর্মেন্দ্র পুত্র ববি দেওল ও রাজেশ খান্নার মেয়ে টুইঙ্কল খান্নাকে বলিউডে এনেছিলেন। ব্যাড বয় সিনেমায় দেখা গিয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর নাচও।