ফের রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে করোনার হানা। করোনা আক্রান্ত হলেন কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। শুধু তিনি নন, কোভিড পজিটিভ হয়েছেন তাঁর ড্রাইভার ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও। অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়কের সংস্পর্শে এসে চিন্তায় পড়েছেন জেলার তৃণমূলের পদস্থ নেতা থেকে সাংবাদিকেরাও।
আমি #করোনা (COVID -19) এ আক্রান্ত হয়েছি। আজকেই রিপোর্ট এসেছে পজেটিভ।আমি ও আমার সিকিউরিটি,ড্রাইভার তিনজন এরই করোনা...
Posted by MLA SEULI SAHA on Sunday, 11 October 2020জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। ধীরে ধীরে তিনি সুস্থও হয়ে যান। কিন্তু পরে ৯ তারিখ তিনি নিজের কোভিড টেস্ট করান। সেখানে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রবিবার রাতে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে একথা জানান তিনি। সেইসঙ্গে, গত কয়েকদিন যাঁরা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদেরও করোনা পরীক্ষা টেস্ট করার কথা বলেন শিউলি সাহা।
চিন্তায় জেলার নেতারা, বিপাকে সাংবাদিকরাও
এরপরেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা। আবার ৯ তারিখ তিনি করোনা পরীক্ষার করার আগে মেদিনীপুর ফেডারেশন হলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার ছোটবড় নেতারা। বিধায়কের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে চাপে পড়ে গিয়েছেন সকলে। তড়িঘড়ি করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। অন্যদিকে, সেই সভায় উপস্থিত থেকে বেজায় বিপাকে পড়েছেন জেলার সাংবাদিক মহল। অতি দ্রুত তাঁরা করোনা টেস্ট করাবেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক দলে বাড়ছে করোনার প্রকোপ
এই খবর শোনার পরেই উদ্বিগ্ন রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস ও তমোনাশ ঘোষের। পাশাপাশি, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক-সহ একাধিক নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে পরে অনেকেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যদিকে, একই অবস্থা রাজ্যের বিরোধী দলেও। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অনুপম হাজরা। ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন বর্ষীয়ান বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী।