Atik Ahmed And Ashraf Killed By Firing: আতিক আহমেদকে (Atik Ahmed) মেডিকেল নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা। পুলিশের গাড়ির উপর ফায়ারিং করা হয়। এই হামলায় আতিক এবং আশরাফের (Asraf) মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। মেডিকেল কলেজের কাছে আতিক আহমেদ এবং আশরাফকে হত্যা করা হয়। যে সময়ে এই হামলা করা হয়েছে সেই সময় দুজনকে মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। দুজনের মৃতদেহ মেডিকেল কলেজের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে জয় শ্রীরামের স্লোগান শোনা গিয়েছে বলে খবর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুনঃ খোদ দিল্লিতে বিজেপি নেতাকে নিজের দফতরে গুলি করে হত্যা
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, প্রয়াগরাজের কোয়ালভিন হাসপাতালের কাছে হামলা হয়েছে। যখন পুলিশের টিম আতিক এবং আশরফকে নিয়ে যাচ্ছিল এই সময় তিনজন হামলাকারী আচমকা মাঝখানে চলে আসে এবং এলোপাথাড়ি গুলি করতে শুরু করে পুলিশের গাড়ি লক্ষ করে। হামলাকারীদের ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। এই পুরো ঘটনাটি মিডিয়া এবং পুলিশের সামনেই ঘটে। দুজনের উপর যখন ফায়ারিং হচ্ছিল, সম্পূর্ণ ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। এই হামলায় একজন পুলিশ কনস্টেবলও জখম হয়েছেন। যার নাম মানসিং। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অবাক করার মত বিষয় হল যে হামলাকারীরা কেউই ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করেনি। বরং জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে তারা পুলিশের সামনে সারেন্ডার করে দিয়েছে। খবর মিলতেই পুলিশের বড় একটি বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলটিতে মধ্যে নিয়ে নেয়।
আসাদকে এনকাউন্টার করে পুলিশ
জানিয়ে দেওয়া যাক যে, এর আগে বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতেই ইউপি এসটিএফ (UP STF) আতিক আহমেদের ছেলে আসাদকে (Asad) এনকাউন্টার করে। সেই সঙ্গে শুটার গুলামকেও (Shooter Ghulam) মেরে দেওয়া হয়। টিম গত দেড় মাস থেকে আসাদ আহমেদ এবং গুলামকে ট্রেস করছিল। এই এনকাউন্টার ইউপি এসটিএফ এর ডেপুটি এসপি নবেন্দু এবং ডেপুটি এসপি বিমলের নেতৃত্বে করা হয়েছিল। আসাদের উপর পাঁচ লাখের পুরষ্কার ঘোষণা করা ছিল। আসাদ এবং শুটার মহাম্মদ গোলামের কাছে একটা ব্রিটিশ বুলডগ রিভলবার এবং ওয়ালদার পিস্তল পাওয়া গিয়েছিল।
২৪ ফেব্রুয়ারি উমেশ পালকে হত্যা করা হয়
২৪ ফেব্রুয়ারি উমেশ পাল (Umesh Paul) এবং তার দুজন নিরাপত্তারক্ষীকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে। উমেশ পাল প্রয়াগরাজের হওয়া রাজু পাল হত্যাকাণ্ডের মুখ্য সাক্ষী ছিলেন। উমেশ যখনই নিজের গাড়ি থেকে নামেন, সেই সময় অভিযুক্তরা তার উপর ফায়ারিং করে। এই সময় তার এবং তার এক গানারেরও গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই উমেশ ও গানারের মৃত্যু হয়ে যায়। আরেকজন গানারকে জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার সময় মারা যান। দুষ্কৃতীরা এই হত্যাকাণ্ড ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে সেরে ফেলে। এই হত্যাকাণ্ডে আতিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ ছিল।