Advertisement

অসম থেকে কলকাতা আসার পথে বাজেয়াপ্ত ৫০ লক্ষ টাকার চোরাই কাঠ, ধৃত চালক

জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, বুধবার রাতে একটি লড়ি আটক করে ৬০০ সিএফটি চোরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমন বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালককেও। এই ঘটনার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য কাঠ মাফিয়াদের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবারই অসম পুলিসের কাছ থেকে গোপন সূত্রে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের কাছে খবর আসে যে সেখান থেকে চোরাই কাঠ ভর্তি লরি যাচ্ছে কলকাতায়। তারপরেই লড়িটিকে আটক করতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়।

বাজেয়াপ্ত কাঠ
অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 06 Jan 2022,
  • अपडेटेड 11:11 PM IST
  • ৫০ লক্ষ টাকার বেআইনি কাঠ বাজেয়াপ্ত
  • অসম থেকে আনা হচ্ছিল কলকাতায়
  • গ্রেফতার লরির চালক

বনদফতর নয়, এবার জেলা পুলিশের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল ৫০ লক্ষ টাকার চোরাই কাঠ। অসম থেকে কোলকাতায় পাচারের পথে কাঠ বোঝাই লরিটি আটক করে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থানার পুলিশ বীরপাড়া চৌপথি এলাকায় ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে ফাঁদ পেতে একটি লরিকে আটক করে। লড়ি থেকেই উদ্ধার হয় বিপুল টাকার বেআইনি সেগুন কাঠ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালক শাকুর খানকেও।
 
জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, বুধবার রাতে একটি লড়ি আটক করে ৬০০ সিএফটি চোরাই কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। যার বর্তমন বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে লরির চালককেও। এই ঘটনার সঙ্গে আন্তঃরাজ্য কাঠ মাফিয়াদের সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবারই অসম পুলিসের কাছ থেকে গোপন সূত্রে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের কাছে খবর আসে যে সেখান থেকে চোরাই কাঠ ভর্তি লরি যাচ্ছে কলকাতায়। তারপরেই লড়িটিকে আটক করতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে জেলা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়।
 
লড়িটিকে ফাঁদে ফেলতে বীরপাড়া চৌপথিতে পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টে ফাঁদ পাতা হয়। এরপর চোরাই কাঠ বোঝাই লরিটি বীরপাড়া চৌপথিতে পৌঁছাতেই পুলিশের অ্যান্টি ক্রাইম স্কোয়াডের সদস্যরা আচমকা রাস্তায় ফিল্মি কায়দায় জিপ দাঁড় করিয়ে সেটিকে আটক করে। গ্রেফতার করা হয় চালককে। ধৃত চালকের বাড়ি হরিয়ানায়। খালাসী অবশ্য রাতের কুয়াশার সুযোগ নিয়ে গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের গুয়াহাটি থেকে চোরাই কাঠ বোঝাই লরিটি কলকাতা যাচ্ছিল। ধৃত লড়ি চালককে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়া আদালতে তোলা হয়। ধৃত চালকই লরিটির মালিক। সে ওই কাঠের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কলকাতার কোন এলাকায় ওই চোরাই কাঠ যাচ্ছিল তা খুঁজে বের করতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement