ফোনে ভিডিও কল এসেছে। আর সেই ভিডিও কল রিসিভ করতেই চক্ষু চড়কগাছ। ফোনের ওপ্রান্তে একজন মহিলা নগ্ন হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর সেই ঘটনা এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা পুলিশের কাছে। ঘটনাটি ঘটেছে খোদ থানায়। তাও আবার কলকাতায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, এই ঘটনাটি দিন কয়েক আগের। সেদিন কলকাতার এক থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা বসেছিলেন। থানায় থাকা স্মার্টফোনে একটি ভিডিও কল আসে। কেউ অভিযোগ করেছেন ভেবে সেই কলটি রিসিভ করেন কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার। রিসিভ করেই দেখেন, জামা কাপড় খুলে এক মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছেন। যদিও সেই কলটি কেটে দেন সেই অফিসার। তবে সেই নম্বর থেকে ফের ফোন আসে বলে খবর। এরপর থানার সেই অফিসার ফোন নম্বরটি ব্লক করে দেন।
জানা যায়, বছর খানেক আগে সরকারের তরফে থানায় স্মার্টফোন দেওয়া হয়। যাতে সহজে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন। আর এই সেই ফোনেই এই ভিডিও কল আসে বলে খবর। সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মতো কলকাতা শহরেও ক্রমাগত বেড়ে চলছে সেক্সটরসনের ঘটনা। এবার তার সাক্ষী থাকল খোদ পুলিশ। সেক্সটরসনের শিকার এখন অনেকেই হচ্ছেন। অচেনা নম্বর থেকে ভিডিও কল বা চ্যাট করে কারও সঙ্গে কথা বললেই যেন বিপদ! প্রথমে কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও কল বা চ্যাট করে অপরপ্রান্ত থাকা ব্যক্তিকে ফাঁসার চেষ্টা করছে দুষ্কৃতীরা।
এই তো বছর খানেক আগে এই ধরনের সেক্সটরশনের শিকার হয়েছেন শহরের চিকিৎসক থেকে আইনজীবী। কলেজ পড়ুয়া থেকে বয়স্ক ব্যক্তিও এই ফাঁদে পড়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা খুইয়েছেন। এবার এই সেক্সটরশরন ফোন কল খোদ কলকাতার একটি থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, কে বা কারা এর পিছনে আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।