সুখবীর সিং সাঁধু এবং জ্ঞানেশ কুমার হতে চলেছেন দেশের নতুন দুই নির্বাচন কমিশনার। প্রধানমন্ত্রীর আবাসে নির্বাচন কমিশনের নিয়োগ কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এই দাবি করলেন লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। নিয়োগ কমিটিতে কেন্দ্রের শাসক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্য, আমাকে আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কোনও মতামত চাওয়া হয়নি।
এ দিন অধীর বলেন,'আমাকে গতকাল রাতে ২১২ জনের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। রাতারাতি সকলের বিষয়ে জানা সম্ভব ছিল না। বৈঠকে ২১২ জনের মধ্যে ৬ জনের নাম দেওয়া হয়। যাই হোক, কমিটিতে শাসক দল সংখ্যাগরিষ্ঠ।' দেশের দুই নির্বাচন কমিশনার কে হতে চলেছেন, তাও জানিয়ে দিয়েছেন অধীর। তাঁর কথায়,'কেরলের জ্ঞানেশ কুমার এবং পঞ্জাবের সুখবীর সাঁধুকে বাছা হয়েছে। যেভাবে নিয়োগ হল, তা আমি সমর্থন করতে পারছি না।'
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন,'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কেবল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আমি আগেই নামের তালিকা চেয়েছিলাম, যাতে আমরা যাচাই করতে পারি। কিন্তু সেই সুযোগ পাইনি। আমাকে ২১২ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। রাতারাতি ২১২ জনের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। কমিটিতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তার মানে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হবে সরকারের মর্জি অনুযায়ী'।
নতুন নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার কে?
কেরল ক্যাডারের ১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার জ্ঞানেশ কুমার। কয়েকদিন আগে সমবায় মন্ত্রকের সচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। ওই মন্ত্রক গঠনের পর থেকেই তিনি ওই পদে ছিলেন। এই মন্ত্রক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অধীনে আছে। এর আগে জ্ঞানেশ কুমার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ কাশ্মীর বিভাগের যুগ্মসচিব ছিলেন। তখনই অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ করা হয়েছিল। পরে তাঁকেও পদোন্নতি দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পদে।
কে সুখবীর সিং সাঁধু?
প্রাক্তন আইএএস অফিসার সুখবীর সিং সাঁধুকে ২০২১ সালের জুলাই মাসে ওম প্রকাশের জায়গায় উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যসচিব হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সাঁধু ১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস অফিসার, ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (NHAI)চেয়ারম্যান হিসেবে ডেপুটেশনে ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে এক বছরের জন্য লোকায়ুক্ত সচিব পদে নিযুক্ত করেছিল। ১৯৮৮ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার ডঃ সুখবীর সাঁধুকে এক বছরের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ড সরকারের মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন।