Sikkim Bridge Collapsed: পাঁচ মাসের মাথায় ফের বিপর্যয় সিকিমে। কালিম্পং-সিকিম সীমান্তে তিস্তা নদীর উপর যে সেতুটি ভেঙে গিয়েছিল, সেই সেতুটির জায়গায় একটি অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ তৈরি করা হয়েছিল। হালকা যানবাহন ও মানুষ চলাচল শুরু করলেও পুরোদস্তুর যাতায়াত শুরু করা যায়নি। সেই সেতুটি সম্পূর্ণ তৈরি করার কাজ চলছিল। এদিনও কাজ শেষ করে এনএইচপিসিকে হস্তান্তর করার কথা ছিল। দু'দিনের মধ্যে এটি উদ্বোধনের কথাও ছিল। তার আগেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ল।
বৃহস্পতিবার ব্রিজটির উদ্বোধনের কথা ছিল। তার দু'দিন আগে এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তারখোলা এলাকায়। দুর্ঘটনার ফলে তিস্তায় তলিয়ে গিয়েছেন ২৬ বছরের শ্রমিক গুলাম সারোয়ার। গুরুতর আহত হয়েছেন আনাল আলি, তালিব আলি ও আনিয়া আকবর। এরা প্রত্যেকেই অসমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৫ জনের জখম হওয়ার খবর মিলেছে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাশুভ্রমনিয়ম পি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন এমন হল খতিয়ে দেখা হবে। বেইলি ব্রিজের বরাতপ্রাপ্ত সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শ্রমিকরা শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। মঙ্গলবারই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দু'দিন পরে উদ্বোধন হত। আচমকা এদিন সেতুটি ভেঙে যায়। এই সেতুটি অস্থায়ীভাবে তৈরি করা হচ্ছিল। বর্ষার আগে সেতুটি তুলে নেওয়ার কথা ছিল। তারপর স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হত। কিন্তু সকলেই শিউরে উঠছেন এই ভেবে, গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ার পর যদি ভেঙে পড়ত, তাহলে আরও অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারত।
একটি বেসরকারি সংস্থাকে ওই সেতু নির্মাণের বরাত দিয়েছিল এনএইচপিসি। এই ঘটনায় বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার গাফিলতির থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পর আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করেন ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা। তাঁদের উদ্ধারের পর কালিম্পং জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাশাপাশি নিখোঁজ শ্রমিককে খুঁজতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কালিম্পং জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। আহত শ্রমিকদের মধ্যে তালিব আলি নামে একজন সংবাদমাধ্যমকে জানান এদিন ১৫ জন কাজ করছিলেন। তখনই আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়ে। তবে কীভাবে বা কেন ভেঙে পড়ল তা তাঁর জানা নেই বলে জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে সিকিমে হড়পা বানের জেরে তারখোলায় থাকা সেতু ভেঙে জলে ভেসে যায়। যার ফলে ১০নম্বর জাতী সড়ক দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে তারখোলায় লোহার বেইলি ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় এনএইচপিসি। গত এক মাস ধরে সেখানে সেতু নির্মাণের কাজ করছিল ওই সংস্থা। এদিন কাজ শেষ করে এনএইচপিসিকে হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দুর্ঘটনা।