একনাথ শিন্ডে না দেবেন্দ্র ফড়নবীস, কে হবেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে খবর, মহাযুতির অন্যতম শরিক অজিত পাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদে সমর্থন করবেন বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে। রবিবার এনসিপি-র নব নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সারেন অজিত পাওয়ার। সূত্রের খবর, সেখানেই এই সংক্রান্ত আলোচনা হয়।
তবে অপর একটি সূত্র দাবি করছে, একনাথ শিন্ডে নাকি ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের ভালো ফলাফল করার অন্যতম কারণ 'লাডলি বাহিন' প্রকল্প। সেই প্রকল্প দেবেন্দ্র একনাথ শিন্ডের মস্তিষ্ক প্রসূত। সেই কারণে তিনি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার ভাবছেন।
বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়নবীসের দাবি কেন বাড়ছে?
প্রথমত : মহারাষ্ট্রে ২০১৯ সালে বিধানসভা ভোটের পর বিজেপি কর্মীদের মনোবল তলানিতে ঠেকেছিল। সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনেও দলের পারফরম্যান্স খুব ভালো হয়নি। ২০২৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে তাই বিজেপি চাইবে, সেই রাজ্যের কর্মীদের মনোবল বাড়াতে। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রীর আসন বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত :বিজেপি এককভাবে মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের দাবি জোরালো হচ্ছে।
তৃতীয়ত : বিজেপির থেকে মুখ্যমন্ত্রী হলে শাসনের উপরও তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সরকার জোটবদ্ধ হলেও মুখ্যমন্ত্রীই সবচেয়ে ক্ষমতাবান।
শিন্ডে কেন মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার? ২০২২ সালে যখন মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছিল, বিজেপি সেই সময় বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও, একনাথ শিন্ডের নাম সামনে রেখে লড়াইয়ে নামে। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে। দেবেন্দ্র ফড়নবীস উপমুখ্যমন্ত্রী হন। বিজেপি সবচেয়ে বড় দল এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে শিন্ডে বা পাওয়ারের সমর্থন ছাড়া সরকার গড়তে পারবে না তারা।
শিন্ডে দাবিদার তার আর একটি কারণ হল এবারের ভোটে তাঁকে মুখ করেই এগিয়েছে মহাযুতি। শিন্ডেই ছিলেন প্রধান প্রচারক।
তবে সূত্রের খবর, অজিত পাওয়ার এবার চাইছেন দেবেন্দ্র ফড়নবীসকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। যদিও তা নিয়ে তিনি সরকারিভাবে কিছু জানাননি। কিন্তু সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দিতে পারেন। যদিও কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা এখনও স্থির হয়নি।