বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন এবং ইসলামি মৌলবাদের উত্থান একটি চরম ইস্যু হয়ে উঠেছে। এদিকে, ছাত্রনেতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৫ আগস্ট বৈঠকের পর নতুন গঠন করা হয় একটি মিডিয়া সেল। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারিত 'ভুল তথ্য' এবং অপপ্রচার মোকাবেলা করা।
নাহিদ ইসলাম তাঁদের বক্তব্যে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি এবং বিভাজনমূলক বক্তব্যের অভিযোগ তোলেন। নাহিদ ইসলাম এক্স-এ একটি পোস্টে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠীকে সমালোচনা করে বলেন, দিল্লি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোতে হস্তক্ষেপ করছে, যা "বিভাজনমূলক রাজনীতি" চালানোর উদ্দেশ্য রাখে।
এদিকে, ছাত্রনেতারা ভারত-বিরোধী প্রচারের জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া সেলের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের রিপোর্টে 'ভুল তথ্য' সংশোধন করার জন্য একটি দল গঠন করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য রয়েছে এবং তাঁরা সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
তবে, বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ এবং সরকারী দুর্বল পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিশেষ করে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে আইনি সাহায্য না পাওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মাঝে চলমান সংঘাত দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে।
এছাড়াও, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও বাংলাদেশে ইসলামিক মৌলবাদের বিস্তারকে মোকাবিলা করার জন্য নতুন "অ্যান্টি-প্রপাগান্ডা সেল" গঠন করা হয়েছে, যা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপকে সামাল দিতে কাজ করবে।