Congress Election Strategy: ২০২৪-এ হতে চলা লোকসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন দল তাদের রণনীতি শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে আজ কংগ্রেস সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়র্গর বাড়িতে পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সূত্র অনুযায়ী বৈঠকে কংগ্রেসের বিভিন্ন শীর্ষ নেতাদের নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়েছে।
বৈঠকে কংগ্রেস রাজ্য নেতারা নিজেদের বক্তব্য পেশ করেন। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দেন, যদি সহযোগী দলগুলির সঙ্গে দরাদরি করতে হয়, তাহলে কংগ্রেসকে কতটা সিট দিতে দেওয়া উচিত। পার্টির রাজ্য নেতাদের বক্তব্য যে, যদি আমরা জোটে বেশি সিটের দাবি রাখি, তাহলে সমঝোতার ফর্মুলা তৈরি হতে পারে।
বিহারের কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন যে, যদি বাম দল এবং কংগ্রেস ২৫ সিটের দাবি করে তাহলে আমরা ১০-১২টি সিট জিততে পারি। নেতাদের বলা হয় যে আমরা জোট চাই এবং যতদূর জেডিউ এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে দলে টানার প্রশ্ন আমরা প্লাস-মাইনাস মেনে নিতে রাজি আছি। ঝাড়খণ্ডের নেতাদের দাবি যে, আমরা ১২টি আসন দাবি করতে চাই এবং তার মধ্যে ৭ এর নীচে কোনওভাবে নামা উচিত নয়।
বৈঠকে ইউপি কংগ্রেসের নেতারা ৪০ সিটের দাবি রেখেছেন। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আলোচনার পর তারা ২০টি সিট পাওয়ার আশা করছেন। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের নেতারা বলেছেন যে আমরা ৬ সিট দাবি করব। সঙ্গে টিএমসি সঙ্গে আরও ৪ টি সিট নিয়ে আলোচনা করা উচিত।
সেখানে পঞ্জাব কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোটবন্ধনের বিরুদ্ধে। মজার ব্যাপার হলো যে এই জোট বন্ধন সমিতি পঞ্জাবের জন্য নিজেদের রিপোর্ট জমা করেনি। যেখানে বাস্তবে পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি-কংগ্রেস জোটের জন্য একটি রেড অ্যালার্ট।
কংগ্রেস আজ লোকসভা নির্বাচনের জন্য পার্টির রণনীতি ঘোষণা পত্র এবং সিট বন্টন নিয়ে আলোচনা করেছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে পার্টি নেতাদের জানিয়েছেন যে, নিজেদের মতপার্থক্য ভুলে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে এবং পার্টি লাইনের বাইরে সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। কারণ এটি প্রায়ই মনোমালিন্য এবং লজ্জার কারণ হতে পারে।
পিটিআই এর বক্তব্য অনুযায়ী, সূত্রের খবর যে কংগ্রেস পার্টি প্রায় অর্ধেক লোকসভা সিটের ওপর ফোকাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে সমস্ত সিটে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা আছে, কংগ্রেস মোট সিটের মধ্যে অর্ধেক সিটে নির্বাচন লড়ার চিন্তা ভাবনা করছে। সূত্রের খবর যে পার্টি রাজ্য়গুলি থেকে একতার মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করার এবং প্রথম তালিকা পাঠানোর কথা বলেছে।