ভারতে ফের করোনা সংক্রমণ! ৮ মাস পর কয়েকটি রাজ্যে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সতর্কতা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার নয়া প্রতিরূপ JN.1-এর থেকে আপাতত কোনও বিপদ নেই। তবে ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরতেই হবে। এছাড়াও বেশি জনবহুল জায়গায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখনও পর্যন্ত দেশে তিনটি রাজ্যে JN.1 আক্রান্ত ২১ জনের খোঁজ মিলেছে। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬৬৯। কেরল, কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। একদিন আগে রাজস্থানেও দুজন রোগী পাওয়া গিয়েছে। গুজরাটেও ১৩ জন আক্রান্ত আছেন। এর আগে বুধবার দেশে একদিনে ৬১৪ জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। ২১ মে-এর পর এটাই ছিল সর্বোচ্চ সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব সুধাংশ পান্ত বলেছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও চিন্তার কিছু নেই। ৯২.৮ শতাংশ রোগীই আছেন হোম আইসোলেশনে। হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়েনি। কেরল, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং কর্নাটকের মতো কিছু রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে। তব সবক্ষেত্রেই করোনার লক্ষণ তেমন গুরুতর নয়। সুস্থ হয়ে উঠেছেন রোগীরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, বৃহস্পতিবার গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩৫৮ টি নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। কোভিড সাব-ভেরিয়েন্ট JN.1 এর কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। JN.1 এর প্রথম রোগী কেরলে পাওয়া গিয়েছে। এ দিন সকাল ৮টার তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এর মধ্যে কেরলের তিনজন, কর্নাটকে ২ জন এবং পঞ্জাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, কেরলে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৪১। কর্নাটকে ৯২, তামিলনাড়ুতে ৮৯ এবং মহারাষ্ট্রে ৪৫ জনের সংক্রামক ধরা পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। সতর্ক থাকলেই চলবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জনবহুল বা বন্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে। সামাজিক দূরত্বকেও অভ্যাসে পরিণত করুন। করোনা JN.1-এর নতুন রূপের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির পর কর্নাাটক, কেরল এবং তামিলনাড়ুতেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারও বলছে, খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। করোনার প্রস্তুতি নিয়ে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পর্যালোচনাও করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব সাহায্য দেওয়া হবে। কোনও ধরনের বিধিনিষেধ বা অতিরিক্ত নজরদারির মতো পরিস্থিতি নেই। তবে কেরল ও তামিলনাড়ুর পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী জেলাগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। যেখানেই রোগী পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই পরীক্ষা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনাগুলি ল্যাবে পাঠাতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মাস্ক ব্যবহার, হাতের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, সামাজিক দূরত্ব, ভিড় এড়িয়ে চলা এবং কাশার সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।