আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আরও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Biparjoy) পরিণত হবে বিপর্যয়। পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম ভারতের দিকে অগ্রসর হবে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় গোয়ার ৮৬০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মুম্বই থেকে ৯১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৯ থেকে ১১ জুনের মধ্যে সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাট অঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। লাক্ষাদ্বীপ, কর্ণাটক, গোয়া, মহারাষ্ট্রের উপকূলীয় এলাকায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্যে অনুভূত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আইএমডি এই অঞ্চলগুলিতে আগামী পাঁচ দিনের জন্য ঝোড়ে হাওয়া বওয়ার সতর্কতা জারি করেছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের প্রভাব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি রাজ্যে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আইএমডি এই অঞ্চলগুলিতে আগামী পাঁচ দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। পূর্ব-মধ্য আরব সাগর এবং পশ্চিম-মধ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৮০-৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাতাসের গতিবেগ ১০৫ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১১৫ কিমি। পশ্চিম-মধ্য এবং দক্ষিণ আরব সাগরের সংলগ্ন অঞ্চল এবং উত্তর কেরল, কর্ণাটক এবং গোয়ার উপকূলীয় এলাকা ঝড়ের দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
৮ জুন বাতাসের গতিবেগ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, সন্ধ্যা থেকে ১১৫-১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছবে। সন্ধ্যায় দমকা হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ১৪০ কিমি। কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে প্রবল বাতাস বইবে।
৯ জুনের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ১৩৫-১৪৫ কিমি। সন্ধ্যায় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ১৬০ কিমি। যা দক্ষিণ আরব সাগর, কর্ণাটক এবং গোয়া-মহারাষ্ট্র উপকূলের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলিকে প্রভাবিত করবে।
১০ জুন মধ্য আরব সাগরের উপর দিয়ে ১৪৫-১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আরব সাগরের সংলগ্ন অঞ্চলগুলি, পাশাপাশি উত্তর কর্ণাটক, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রের উপকূলগুলিও প্রভাবিত হবে।
মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কতা
আইএমডি মৎস্যজীবীদের ১০ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে। বর্তমানে সমুদ্রে থাকা জেলেদের উপকূলে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ৭ থেকে ৯ জুন দক্ষিণ আরব সাগরের মধ্য এবং সংলগ্ন অঞ্চলে এবং ১০ জুন উত্তর ও দক্ষিণ আরব সাগরের মধ্য এবং সংলগ্ন অঞ্চলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেরল-কর্নাটক উপকূলের পাশাপাশি লাক্ষাদ্বীপ-মালদ্বীপ অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের ৬ এবং ৭ জুন সতর্ক থাকতে হবে। যদিও কোঙ্কন-গোয়া-মহারাষ্ট্র উপকূলে এবং তার বাইরের মৎস্যজীবীদের ৮ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
বুধবার সকালে আইএমডি জানিয়েছে যে দুই দিনের মধ্যে কেরলে বর্ষার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হবে। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য বলেছেন যে ঘূর্ণিঝড়টি বর্ষার তীব্রতাকে প্রভাবিত করছে। তাতে মৌসুমী বায়ুর গতি ধীর হবে।