ITR Filing Mistakes: আয়কর রিটার্ন জমা করার শেষ দিন আগামী ৩১ জুলাই ২০২৩। অনেকে এখনও তাঁদের আয়কর রিটার্ন ফাইল করেননি। তাঁদের হাতে আর খুব বেশিদিন সময় নেই।
আয় একরকম। কিন্তু আয়কর রিটার্নের সময়ে তা কম করে দেখানো। অনেকেই ITR ফাইল করার সময়ে এমন কারচুপি করে থাকেন। বলাই বাহুল্য কর বাঁচানোর উদ্দেশ্যেই এমনটা করেন। আইনত এটি অপরাধ। এর জন্য জেল পর্যন্ত হতে পারে। আয়কর দফতর মাঝে মাঝেই এই বিষয়ে সতর্কতা প্রদান করে থাকে। এভাবে আয় কমিয়ে দেখালে জেল পর্যন্ত হতে পারে। তাই কম আয় দেখিয়ে আয়কর রিটার্ন ফাইল না করাই শ্রেয়।
হতে পারে মোটা টাকার জরিমানা
আয়কর আইন ১৯৬১ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যদি রিটার্ন ফাইল করার সময়ে আয় কম করে দেখান বা, ভুয়ো ডিডাকশান দাবি করেন, সেক্ষেত্রে বকেয়া করের প্রায় ২০০% এবং বার্ষিক ১২% হারে সুদ আরোপ করা হবে। বড় অঙ্কের কর ফাঁকির ক্ষেত্রে হাজতবাস পর্যন্ত হতে পারে।
ভুল ITR ফাইল করে ফেললে কী করবেন?
যদি আয়কর রিটার্নে ভুল আয় দেখিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রেও উপায় থাকে। আয়কর দফতর আপনাকে ভুল সংশোধনের জন্য আরও একবার সুযোগ দেবে। আয়কর আইনের ১৪০বি ধারায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষ এবং ২০২২-২৩ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের বকেয়া কর প্রদান করে একটি আপডেটেড রিটার্ন ফাইল করতে পারেন।
দুই আয়কর নীতি
দেশে দুইটি আয়কর কাঠামো আছে। প্রথমটি নতুন, অপরটি পুরনো। দুইটির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। সেই অনুযায়ী করযোগ্য আয়ও আলাদা হয়। পুরনো কর কাঠামোয় ITR ফাইল করলে তাতে আপনাকে ২.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোট বার্ষিক আয়ের উপর কোনও কর দিতে হবে না। তার উপর আপনি রিবেট, করছাড়ের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর বাঁচাতে পারবেন। এর ফলে আপনার করের দায় কমে।
এই আয়গুলির বিষয়ে উল্লেখ করতে ভুলবেন না
১. আয়কর রিটার্ন ফাইল করার সময়ে অনেকে সেভিংস অ্যাকাউন্টের টাকার উপর প্রাপ্ত সুদের বিষয়ে উল্লেখ করেন না। এমনটা করা ঠিক নয়। এটি বাদ দিলে আয়কর দফতরের কাছে প্রদত্ত তথ্য ভুল বলে ধরা হবে। আপনি একটি নোটিসও পেতে পারেন। আয়কর আইনের ১৪২ নম্বর ধারা অনুযায়ী আয়কর দফতর এর জন্য একটি নোটিশ জারি করতে পারে এবং আপনার প্রদত্ত তথ্যের বিষয়ে সাফাই চাইতে পারে।
২. অভিভাবকরা অনেক সময়ে নাবালক সন্তানের নামে বিনিয়োগ করেন। এমন ক্ষেত্রে নাবালক সন্তানের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অভিভাবকের নাম যুক্ত থাকে। ফলে এটি বাদ দিলে ভুল করবেন। বরং এই অ্যাকাউন্ট যোগ করলে বাড়তি ১,৫০০ টাকার কর ছাড় পাবেন।
৩. অনেক করদাতা বিদেশেও বিনিয়োগ করেন। এটি সরাসরি ইক্যুইটির মাধ্যমে হতে পারে। আবার জমি-বাড়ির মতো কিছুও কেনা হতে পারে। ITR রিটার্নে সেটিও উল্লেখ করা উচিত্। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছেন বলে তা ভারতে উল্লেখ করবেন না, এমনটা কিন্তু নয়।