পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম ২ জঙ্গি। কাশ্মীরে আইজি বিজয় কুমার জানান, গত মাসে ও এই মাসে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের ওপরে হামলার ঘটনায় এই দুই জঙ্গি যুক্ত ছিল। তারা দুজনেই কাশ্মীরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। নিহত জঙ্গিদের নাম এজাজ হাফিজ এবং শহিদ আইয়ুব।
পুলিশ জানাচ্ছে পুলওয়ামার মিত্রিগাম এলাকায় সন্ত্রাসীদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযোগ, সেইসময় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনীও। তাতেই খতম হয় ২ জঙ্গি।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল, পুলওয়ামার পাহু এলাকায় এপর একটি গুলির লড়াইতে খতম হয় ৩ জঙ্গি। নিহতরা প্রত্যেকেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ২৩ এপ্রিল এক আত্মঘাতী জঙ্গিকে নিকেশ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
পুলিশ ইতিমধ্যেই জঙ্গিদের সমর্থনকারী চার স্থানীয় বাসিন্দাকে চিহ্নিত করেছে। তাদের মধ্যে শফিক আহমেদ নামে একজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ইকবাল নামে আরও একজন হেফাজতে রয়েছে। পলাতক আসিফ ও বিলাল নামে ২ জন। অনুপ্রবেশকারীদেরল সাম্বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বিলালই নিয়ে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।
টিআরএফ ও জইশ সক্রিয়
জম্মু ও কাশ্মীরের এডিজির মতে, এনকাউন্টারের তদন্তে গতি এসেছে। পাকিস্তানের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে টিআরএফ ও জইশ। কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে তারা। ডিজিপি দিলবাগ সিংয়ের মতে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
২ রেল পুলিশ কর্মীর হত্যা
প্রসঙ্গত এর আগে গত ১৮ এপ্রিল, পুলওয়ামার কাকাপোড়ায় সন্ত্রাসীদের হাতে দুই RPF কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সেই ঘটনায় নিহত হন হেড কনস্টেবল সুরিন্দর সিং ও এসআই দেব রাজ। হামলার সময় ওই দুই কর্মচারী একটি চায়ের দোকানের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন - শতাব্দী এক্সেপ্রেসে হঠাত্ ইফতার পার্টি, রেলের সারপ্রাইজে আপ্লুত যাত্রী