অবশেষে সংসদে মণিপুর নিয়ে বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, 'মণিপুরে নিশ্চয়ই শান্তির সূর্য উঠবে। মণিপুর আবার নতুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যাবে। মণিপুরের মানুষকে আমার আবেদন, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। সংসদ সঙ্গে আছে। ওখানে সমস্যার সমাধান হবে। আমি মণিপুরের মা-বোনেদের বলছি। কিন্তু শুনে খারাপ লাগছে, এই সংসদ থেকেই কেউ কেউ ভারতমাতার মৃত্যু কামনা করছেন।'
উল্লেখ্য, গতকালই মণিপুর ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বলেন মণিপুরে ভারত মাতাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিন মোদী তাঁর নাম না করেই সেই মন্তব্য টেনে প্রতি আক্রমণে বলেন, 'ওই মন্তব্যে ভারতবাসী দুঃখ পেয়েছে। ভারত মাতা সম্পর্কে কী সব ভাষার প্রয়োগ করা হচ্ছে। কারা করছে, যারা দেশকে তিনভাগে ভাগ করেছিল। দেশ তাদের ভুলে যায়নি। ‘ভারত তেরে টুকরে হোঙ্গে’ স্লোগান যারা দেয়, তাদের সহায়তা করে এরা। কংগ্রেসের ইতিহাস ভারতমাতাকে ছিন্নভিতন্ন করার ইতিহাস।'
তিনি বলেন, 'মণিপুর নিয়ে সবিস্তারে গতকাল জানিয়েছিলেন অমিত শাহ। আদালতও একটি রায় দিয়েছে, সেটা আমরা জানি। হিংসা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বহু পরিবার সমস্যায় পড়েছে। অনেকে স্বজন হারিয়েছেন। মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অপরাধ হয়েছে। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। দোষীদের শাস্তি দিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার চেষ্টা করছে। দেশের সকল নাগরকিদের আশ্বস্ত করছি, নিকট ভবিষ্যতে শান্তির সূর্য উঠবে। আমি মণিপুরবাসীদের অনুরোধ করতে চাইছি, মা-বোনেদের বলতে চাই, দেশ ও সংসদ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা সবাই মিলে। এই চ্যালেঞ্জের সমাধান করব। ওখানে ফের শান্তিস্থাপনা হবে। মণিপুর আবার উন্নতির দিকে এগিয়ে চলবে। চেষ্টায় কোনও ত্রুটি থাকবে না।'
এদিকে, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বলার পরও, মণিপুর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী একটিও শব্দ খরচ না করার, প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন বিরোধী সাংসদরা। মোদী দেখে বললেন, ‘‘এঁরা অভিযোগ করতে পারেন অথচ এঁদের জবাব শোনার ধৈর্য নেই। এঁরা এখন পালিয়ে যাচ্ছেন!’’
মণিপুর নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের টুইট, মাত্র ১ মিনিট বললেন মণিপুর নিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে এই ইস্যুকে কতটা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন!