নির্বাচনী বন্ডের ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত সম্পূর্ণ বিবরণ নির্বাচন কমিশনকে হস্তান্তর করেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের পর মঙ্গলবার সন্ধেয় নির্বাচন কমিশনের হাতে সমস্ত তথ্য তুলে দেয় এসবিআই। ব্যাঙ্ক কমিশনকে যে তথ্য দিয়েছে তা । কে কত টাকায়, কবে নির্বাচনী বন্ড কিনল? এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য আপলোড করতে হবে। যা কমিশনের বিশেষজ্ঞদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য প্রথমে পর্যায়ক্রমে আপলোড করা হচ্ছে। ১৫ মার্চ সন্ধেয় এটি প্রকাশ্যে আনা হবে।
সুপ্রিম কোর্ট ব্যাঙ্কের আবেদন খারিজ করেছিল
একই সময়ে, সোমবার অনুষ্ঠিত শুনানির সময়, সুপ্রিম কোর্ট এসবিআইকে আগামী কাল (১২ মার্চ) এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আরও সময় চেয়ে ব্যাঙ্কের আবেদন খারিজ করেছিল। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চও এসবিআইকে কড়া ভর্ৎসনা করেছে। তারা প্রশ্ন করে ২৬ দিন তারা কী করছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারি আদালত এই আদেশ দেয়।, তা এখনো মানা হয়নি কেন? এই বিষয়ে এসবিআই জানিয়েছে যে নির্বাচনী অনুদানের তথ্য কোড করা হয়েছে, এটি ডিকোড করতে সময় লাগবে।
২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড স্কিম নিয়ে এসেছিল
২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। এটি ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ এ আইনত বাস্তবায়িত হয়েছিল। সরকার বলেছে যে নির্বাচনী প্রচারে 'পরিষ্কার' অর্থ আনতে এবং 'স্বচ্ছতা' বাড়াতে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এসবিআই-এর ২৯টি শাখা থেকে বিভিন্ন পরিমাণের নির্বাচনী বন্ড জারি করা হয়।