SEBI Statement on Adani Case: হিন্ডেনবার্গের রিসার্চের সাম্প্রতিক রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারের ব্যাপক পতন চর্চায়। লাভ ক্ষতির হিসেবে চলছে দেশের একাধিক অর্থলগ্নিকারী সংস্থাগুলিতে। প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র সরকার। বিরোধীদের লাগাতার কেন্দ্রকে আক্রমণ। এরই মধ্যে নীরবতা ভেঙে, বাজারে অস্থিরতা তৈরি হোক এমনটা চাই না, এমনই বিবৃতি দিয়েছে SEBI। এই বিষয়ে একটি বড় বিবৃতি এসেছে। তারা জানিয়েছে গত সপ্তাহে একটি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর শেয়ারে অস্বাভাবিক অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। SEBI জানিয়েছে, 'আমরা চাই পুঁজিবাজার স্বচ্ছ ও কার্যকরভাবে চলুক।'
শনিবারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে, SEBI জানিয়েছে, আমরা বাজারের সুশৃঙ্খল এবং কার্যকারিতা বজায় রাখতে চায়। নির্দিষ্ট স্টকগুলিতে অত্যধিক অস্থিরতা দূর করার জন্য জনসাধারণের পর্যবেক্ষণের একটি ব্যবস্থাও রয়েছে৷
কোনও স্টকের দামে বিশাল ওঠানামা হলে কিছু শর্তের সঙ্গে মনিটরিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্রিগার হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) বিবৃতির পরে SEBI-এর বিবৃতি এসেছে, যেখানে ঋণদাতাদের উদ্বেগ দূর করে বলেছে যে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নমনীয় এবং স্থিতিশীল রয়েছে।
সাংসদ মহুয়া মৈত্রর ট্যুইট:
SEBI-এর এই বক্তব্যের পর TMC সাংসদ মহুয়া মৈত্রও ট্যুইট করেছেন। তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ২০২১ সালের জুন থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কেবল সেবিই জানে।
মহুয়ার এ-ও বলেন, ভারতের গরিমা একজন ব্যক্তির সম্পদ দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা উচিত নয়। সেবি-র মতো কর্তৃপক্ষকে স্পষ্ট করা উচিত যে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কী ভূমিকা পালন করে।
তিনি এও স্মরণ করিয়ে দেন, "যখন US ভিত্তিক শর্ট সেলার্স হিন্ডেনবার্গ SEBI কে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন তারা আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, তারা বলেছিল যে তারা এখনও উত্তর দেওয়ার জন্য কোন সিদ্ধান্তে আসেনি। এটি ২০১৯-এর একটি ঘটনা।"
প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক-ভিত্তিক শর্ট-সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলির উপর তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে গ্রুপটির বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন ও হিসাব জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।রিপোর্টে আরও বলা হয়, আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত সাতটি কোম্পানির মূল্য অতিরিক্ত দেখানো হয়েছে।