প্রেমের জোয়ারে গা ভাসিয়ে পাকিস্তান থেকে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করে গত বছর বিতর্ক বাধিয়েছিলেন সীমা হায়দর। নয়ডার যুবক সচিন মীনার প্রেমে পড়েন তিনি। সেই সচিনকে পরে বিয়েও করেন। সেই চর্চিত সীমার এক ভিডিয়ো ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, সীমার মুখে ক্ষতচিহ্ন। চোখের তলায় কালশিটে দাগ। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা। ভিডিয়োটিতে দাবি করা হয়েছে যে, সীমাকে মারধর করেছেব তাঁর স্বামী সচিন। সত্যি সত্যিই কি স্বামীর হাতে মার খেয়েছেন সীমা?
কে এই সীমা?
পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা সীমা। PUBG গেমের মাধ্যমে গ্রেটার নয়ডার রাবুপুরার বাসিন্দা সচিনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। সেই আলাপ পরে প্রেমে গড়ায়। ভারতের আরও এক পড়শি দেশ নেপালে দেখা করেন তাঁরা। পরে ৩ সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে বেআইনি ভাবে ভারতে প্রবেশ করেন সীমা। নয়ডায় সচিনের বাড়িতে পৌঁছন। বিষয়টি জানাজানি হতেই সীমা, সচিন এবং সচিনের বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাঁরা জামিন পান।
এই ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছিল দেশে। নানা সময় সীমার বিভিন্ন ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেরকমই সীমার এহেন ভিডিয়ো ঘরে হইচই পড়েছে। তা হলে কি সত্যিই স্বামী সচিন তাঁকে মারধর করেছেন?
ভিডিয়ো প্রসঙ্গে সীমার আইনজীবী এপি সিং জানিয়েছেন, এটা ভুয়ো ভিডিয়ো। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানে এই ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। পাকিস্তানে ইউটিউব চ্যানেলে ভাইরাল হয় এই ভিডিয়ো। তবে এটি পুরোপুরি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'এটি পুরোপুরি ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর খবর।' সীমা এবং সচিনের মধ্যে কোনও ঝগড়া হয়নি, বরং তাঁদের ভালবাসা অটুট রয়েছেন বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। সীমাও পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর উপর অত্যাচার করা হয়নি।