মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদে কে বসবেন, এই নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে। BJP-র নেতৃত্বাধীন মহযুতি জোটে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, তা নিয়ে এখনও সাসপেন্স। এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই শিবসেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, একনাথ শিন্ডে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে রাজি নন। শিবসেনা সূত্রের খবর, ভোটের আগে শিবসেনাকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী পদ ঘিরে বাড়ছে বিবাদ
যার নির্যাস, মহারাষ্ট্রে মহাযুতি জোটের বিপুল ভোটে জয়ের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ঘিরে দ্বৈরথ তৈরি হয়েছে। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় শিরসাতের দাবি, মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে মহাযুতি জোট লড়েছে একনাথ শিন্ডেকে মুখ করে। একথা দেবেন্দ্র ফড়নবীস সহ বিজেপি-র বরিষ্ঠ নেতারাও মানবেন। তাই একনাথ শিন্ডেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তাঁর কথায়, 'বিজেপি যদি আমাদের দাবি পূরণ করে, তাহলে মানুষের কাছে ভাল বার্তা যাবে। যদি একনাথ শিন্ডে মুখ্যমন্ত্রী হহন, তাহলে আগামী নির্বাচনেও আমরা লাভবান হব। কারণ শিন্ডের জন্যই ভোটে মহাযুতি জোট লাভবান হয়েছে।'
মহারাষ্ট্রে ভোটের রেজাল্টের অঙ্ক কেমন?
এর আগে মঙ্গলবার রাজভবনে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং অজিত পাওয়ারের উপস্থিতিতে তিনি রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এমভিএ-তে কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে শিবির) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে এই শিবির। ২৮৮ আসনের বিধানসভায় মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট মাত্র ৪৬টি আসন জিততে পারে। বিজেপির নেতৃত্বে মহাযুতি জোট ২৩০টি আসনে জয়ী হয়েছে। মহাজোটে রয়েছে বিজেপি, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পাওয়ারের এনসিপি।
বিজেপির একটি সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত ফড়নবীসের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা না-হলে জোটে কী প্রভাব পড়তে পারে, তাই নিয়েও নাকি আলোচনা হয়।