SBI Share Price High Return: দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (State Bank Of india) স্টক এর শেয়ারে (SBI Share Price ) লগ্নিকারীরা গত তিন বছরে জোরদার রিটার্ন পেয়েছেন। তিন বছরে এই ব্যাংকের স্টক ১৮০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে। মার্চ ২০২০তে এসবিআইয়ের শেয়ার ১৮০ টাকার আশপাশে ব্যবসা করছিল। কিন্তু এখন এই শেয়ার ৫০০ টাকার অংক নিয়ে ফেলেছে। শুক্রবারে স্টক ১.৪১ শতাংশ কমে ৫০৫.৫০ টাকায় বন্ধ হয়েছে। কিন্তু এই স্টক আপাতত ৫২ উইকের হাই লেভেল ৬২৯.৫৫ টাকা থেকে ২৩ শতাংশ বেশি নীচে রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর ২০২২-এ এটি নিজের বাহান্ন উইকে সবচেয়ে হাইটে পৌঁছেছিল।
আরও পড়ুনঃ বিনা পয়সায় গরু, সঙ্গে আরও ৯০০ টাকা দিচ্ছে সরকার; কারা-কীভাবে পাবেন?
অন্য ব্যাংকের তুলনায় পরিস্থিতি
যদিও স্টেট ব্যাংকের শেয়ার (SBI Share Price High Return) গত এক বছরে রিটার্নের বিষয়ে ব্যাংক অফ বরোদা (Bank Of Baroda) এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (Punjab National Bank) পিছনে রয়েছে। যেখানে ব্যাঙ্ক অফ বরোদার শেয়ারে এক বছরে ৫১ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। সেখানে ইউনিয়ন ব্যাংকের (Union Bank Of India) শেয়ার এই অবধি ৬৫ শতাংশ রিটার্নের সঙ্গে টপে রয়েছে। পিএনবি এবং কানাড়া ব্যাংকের শেয়ার এক বছরে ক্রমশ ২৯ শতাংশ এবং ২২ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে।
এরপরেও এসবিআই শেয়ারা তেজি বজায় থাকার সম্ভাবনা
এই পিএসইউ ব্যাংকের (PSU Bank) শেয়ার নিয়ে ব্রোকারেজ এবং এক্সপার্টদের বক্তব্য হচ্ছে যে এই শেয়ার আপাতত তেজিতেই থাকবে অর্থাৎ উর্ধ্বমুখী থাকবে এর অঙ্ক। বিদেশি ব্রোকারেজ নিজেদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানিয়েছে যে, ভারতীয় ব্যাংকের ভ্যালুয়েশন অত্যন্ত আকর্ষক মনে হচ্ছে। এসবিআইয়ের এই শীর্ষ ব্যাংকের পিক্সের মধ্যে একটি, টারটাল হেলথ এর সংস্থাপক এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজার রোহন মেহতা জানিয়েছেন যে এসবিআই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভাল বিকল্প তৈরি করেছে। আমাদের ফান্ডের জন্য টপ থ্রি হোল্ডিংস মধ্যে একটি।
চাপে ব্যাংকিং সেক্টর
মোতিলাল ওসওয়ালের (Motilal Oswal) বক্তব্য যে বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেম মুখ্যভাবে অ্যাসেট কোয়ালিটির কারণে লিকুইডিটির কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে. ব্রোকারেজ পার্টি জানিয়েছে যে ভারতীয় ব্যাংকিং সিস্টেমের জন্য কোনও চ্যালেঞ্জ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। অ্যাঞ্জেল ওয়ান লিমিটেডের হেড অ্যাডভাইজারি অমর দেব সিং জানিয়েছেন যে এসবিআই এই ত্রৈমাসিকে তার ঊর্ধ্বগতি নথিবদ্ধ করেছে। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক মন্দার বিষয়ে বৈশ্বিক ব্যাংকিং সিস্টেমের সম্বন্ধিত নেগেটিভ নিউজে থেকে ব্যাংকিং সেক্টর চাপে পড়ে গিয়েছে।