লোকসভা ভোটের আগে ৮ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল আইএসএফ। বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের রাস্তা খোলা রেখেই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানালেন দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেয়নি তারা। ওই কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকি। তবে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়নি।
আইএসএফের প্রার্থী তালিকা
মালদা উত্তর- মহম্মদ সাহেব
জয়নগর- মেঘনাদ হালদার
মুর্শিদাবাদ- হাবিব শেখ
বারাসত- তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বসিরহাট- মহম্মদ শহিদুল ইসলাম মোল্লা
মথুরাপুর- অজয় কুমার দাস
শ্রীরামপুর- শাহরিয়ার মল্লিক
ঝাড়গ্রাম- অধ্যাপক বাপি সরেন
আইএসএফের প্রার্থী তালিকায় পরিচিত মুখ কেউ নেই। এ নিয়ে নওশাদের ব্যাখ্যা,'পরিচিত মুখ দিয়ে কী হবে? সংসদে গিয়ে টিকটক করবে? প্রশ্নোত্তর পর্বে এই পরিচিতদের দেখতে পাওয়া যায় না। আসানসোলের সাংসদ সংসদে কোনও কথা বলেননি। আমরা মাটির মানুষের উপর আস্থা রাখছি। তাঁদের জনপ্রতিনিধি করতে চাই'।
শ্রীরামপুরে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দীপ্সিতা ধর। তবে জোটে কি ফাটল ধরল? নওশাদ বলেন,'আমাদের প্রধান শত্রু বিজেপি। তাদের বাংলায় স্থান করে দেওয়া তৃণমূলকে পরাস্ত করতে হবে। আমরা বাম-কংগ্রেসকে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছি। যে আসনগুলির নাম বলা হয়নি, সেগুলিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘোষণা করতে পারি। দূরত্ব না বাড়ে, সেজন্য আমরা অপেক্ষা করেছিলাম। একটা দিন পিছিয়ে যাওয়া মানে তিনটে দিন পিছানো। আমরা কিছুটা হলেও সময়ের সঙ্গে দিতে পারিনি। লক্ষ্য ছিল জোটটা যাতে হয়। আমরা অপেক্ষা করেছি। আইএসএফ কি একটাও প্রার্থী দেবে না?'
'
অতিসম্প্রতি অধীর চৌধুরী দাবি করেছেন, আইএসএফের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তবে সিপিএমের সঙ্গে কয়েকটি আসনে সমঝোতা হতে চলেছে। কোনও জোটের কথা হয়নি। নওশাদ এ দিন দাবি করেন, 'কংগ্রেসের সঙ্গে টেলিফোনিক আলোচনা হয়েছিল।