ব্রিগেডের জনগর্জন সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের ৪২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় নানা চমক রয়েছে। বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা ৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। যদিও প্রার্থী তালিকায় নাম নেই অর্জুন সিংয়ের। তিনি বর্তমানে ব্যারাকপুরের সাংসদ। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের হয়ে লড়বেন পার্থ ভৌমিক। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন অর্জুন। তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে জিতেছিলেন। তারপর বিজেপিতে নিজের কদর বেশ বাড়িয়েছিলেন অর্জুন। যদিও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তিনি আবার দল বদল করে পুরনো দলে ফিরে আসেন।
আজ তৃণমূলের জনগর্জন সভাতে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন। যদিও প্রার্থী তালিকায় তাঁর নাম নেই দেখেই আগেভাগেই তিনি সভাস্থল ছাড়েন। সূত্রের খবর, টিকিট না পেয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অর্জুন। একসঙ্গে তিনি ক্ষুব্ধও। যদিও, লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছিল, ততই অর্জুনকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল তৃণমূলের অন্দরে।
কয়েকদিন আগে দলেরই এক নেতা অর্জুনকে প্রার্থী না করার আবেদন জানান তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে যাতে অর্জুন সিং-কে যেন টিকিট দেওয়া না হয়, এর জন্য সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ শুরু করেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে। সাংবাদিক সম্মেলন করে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, 'ব্যারাকপুর লোকসভার সাধারণ মানুষের এবং এখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের একটি দাবি এসেছে যাতে যারা ২০১৯ সালে মানুষের ওপরে অত্যাচার করেছিল, সেই অশুভ শক্তিদের যাতে কোনওরকম স্থান না দেওয়া হয়। ব্যারাকপুর লোকসভা সেই দাবি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি আমরা। এবার দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মাথা পেতে নেব।'
সোমনাথ শ্যামের দাবি, ব্যারাকপুরের 'বাহুবলী' সাংসদ অর্জুন সিং-কে নিয়ে দলের বাকি নেতৃত্বকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। অর্জুনের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, বিজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের কাছেও চিঠি আসছে বলে দাবি তাঁর। সোমনাথ শ্যাম জানান, ব্যারাকপুরের সাধারণ মানুষ, দলের নেতাকর্মীরাই এই দাবি জানাচ্ছেন।