দলীয় সভা থেকে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে ফের একবার তোপ দাগলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সেইসঙ্গে নিশানা করলেন রাজ্যে পুলিশ ও প্রশাসনকেও। তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়ে পুলিশের পোস্টিং হয় বলে অভিযোগ করেন সায়ন্তন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, হাত ঘুরে টাকা যাচ্ছে কালীঘাটের ভাইপো খোকাবাবুর কাছে।
ঠিক কী বলেছেন সায়ন্তন
এদিন হুগলির খানাকুলে নতিবপুরে বিজেপির নেতা লালচাঁদ বাঘের স্মরণসভায় আসেন রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখন পুলিশ ও সমাজবিরোধীরা জোট হয়েছে। নিজেদের পিঠের চামড়া বাঁচাতে তাদের এখন লক্ষ্য বিজেপি আটকানো। বর্তমানে যে সরকার চলছে সেটিও হল দুর্নীতিগ্রস্ত ফ্যাসিস্ট সরকার। শুধু বালি চোর নয় ,কয়লা চোর ,গরু চোর, চাল চোর, ডাল চোর, এমনকি আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা চুরি করেছে ওরা। তৃণমূলের যে যত বড় নেতা, সে ততো বড় চোর।"
আরও পড়ুন, শুভেন্দু BJPতে আসলে বিরাট লাভ, জল্পনা বাড়ালেন মুকুল রায়
নিশানা করলেন পুলিশকেও
সেইসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশ্য তোপ দেগে তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে পুলিশের পোস্টিং কীভাবে হয় সেটা আমি প্রকাশ্যে বলছি, যদি হিম্মত থাকে মামলা করুন। পুলিশের পোস্টিং হয় তৃণমূলের নেতাদের টাকা দিয়ে। তৃণমূলের নেতারা বলছে, আমাকে এত হাজার টাকা দাও তোমাকে থানার ওসি করে দেব, তোমাকে জেলার এসপি করে দেব, তোমাকে রাজ্যের অমুক জায়গায় পোস্টিং দেব। আপনি এখান থেকে কলকাতা দিকে গেলে দেখতে পাবেন রাস্তার ধারে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। আপনাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য নয়, লরি থেকে টাকা তোলার জন্য। এবার হয়তো আপনি ভাববেন ওই টাকা পুলিশ খাচ্ছে। কিন্তু পুলিশ একা খাচ্ছে না, তৃণমূলের নেতাদের হাত ঘুরে আরামবাগ ,পুড়শুড়া, গোঘাট ,খানাকুল হুগলি জেলার নেতাদের হাত ঘুরে এই সমস্ত এলাকার তৃণমূলের নেতাদের হাত ঘুরে কালীঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে ওই সমস্ত ভাইপো খোকাবাবুর কাছে। "
কার্যত এভাবেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিশানা করেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগেও খোকাবাবু নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সেই খোকাবাবু নাম করে ফের একবার তৃণমূলকে বিঁধলেন আর এক বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।