স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় এবার মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। সরাসরি দুষলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। নাম না-করে রাজ্যপালের বক্তব্য, তিনি স্তম্ভিত যে, তিনি যা যা শুনেছিলেন, তা-ই ঘটেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি।
আমি যা যা শুনেছিলাম, সবই ঠিক: রাজ্যপাল
যাবতীয় ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম। আমার মনে দ্বিমত ছিল, এরকম একজন উচ্চশিক্ষিত শিক্ষামন্ত্রী, এরকম কাজ করতে পারেন কি পারেন না। কিন্তু আমি স্তম্ভিত হয়েছি যে, এই কাজটি হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্নীতি। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণিত হল, আমি যা যা শুনেছিলাম, সবই ঠিক। শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে এখন যেটা আমাকে ভাবাচ্ছে তা হল,বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসার অভিযোগও রয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থায় দুর্নীতির অর্থ, ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে লুঠ করা, যা পাপ।'
হাইকোর্টের রায় নিয়ে আইনজীবীদের ভিন্ন মত
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট এসএসসি দুর্নীতি মামলার রায়ে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল। চাকরিও বাতিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। আদালতের এই রায়ে আইনজীবীদের একাংশ মনে করছেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া বলতে আদালত বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, প্যানেল সবটাই বোঝাতে চেয়েছে। যদিও এ নিয়ে আইনজীবীদের আরেক অংশ ভিন্ন মত জানাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, সিবিআই যে পুরনো ওএমআর শিট বা তার মিরর কপি উদ্ধার করেছে তা নিয়ে বিতর্ক না থাকলে সেগুলি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন নিয়োগ করতে পারবে এসএসসি। ফলে এখনই নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুষেছেন কুণালও
বস্তুত, এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তিনি বলেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা চক্রান্ত করে পাপ করেছেন। ভোটের মুখে সরকার তথা দলকে ভুগতে হচ্ছে। উত্তর দিতে হচ্ছে। যাঁরা অপরাধ করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত হোক। কিন্তু যাঁরা দোষ করেননি, তাঁদের চাকরির দরজা যেন বন্ধ না হয়।'