একদা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী সোনালি গুহকে সংগঠনের দায়িত্ব দিল বঙ্গ বিজেপি। তবে এখনই কোনও পদ দেওয়া হয়নি তাঁকে। বিজেপি সূত্রে খবর ডায়মণ্ড হারবারে সংগঠনের কাজ করবেন সোনালি। বিজেপির হাত ধরে দু'বছরের বিরতি ভাঙতে চলেছেন সোনালি গুহ।
জানা গেছে, সোনালি দেখাও করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখাও গিয়েছিল সোনালিকে। এ বার রাজ্য বিজেপি তাঁকে মহিলা মোর্চার রাজ্য কর্মসমিতির সদস্য করল। 'আজতক বাংলা'কে সোনালি বলেন, ‘‘শুনে আমার খুবই আনন্দ হচ্ছে। আমি খুব খুশি। নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে জেনে নেব ঠিক কী ভাবে আমায় কাজ করতে হবে।’’
এখন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এই প্রসঙ্গে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই উনি কাজ করতে চাইছিলেন। কী ভাবে কাজে লাগানো যায় সেটা আমরা দেখব। এখনই কিছু ভাবা হয়নি, তবে মূলত সংগঠনের কাজই দেওয়া হবে।’’
এর আগেও তৃণমূল থেকে অনেকেই বিজেপিতে এসে বিশেষ সুবেধি করতে পারেনি। ফের ফিরেছেন ঘাসফুল শিবিরে। বিষয়টিতে ফাল্গুনী বললেন,‘‘বিজেপিতে ঢোকার একটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে ঢোকা সহজ, টেকা কঠিন। উনি টিকতে পারলে কাজ করবেন। না হলে চলে যাবেন।’’
সম্প্রতি সোনালি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করেছেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সোনালি। সোনালির বিধানসভা এলাকা সাঁতরাগাছি ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনের অন্তর্গত। এই আসনে ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত টানা পাঁচ বার বিধায়ক হয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। আর তার পরেই সোনালি। তৃণমূলের উত্থান পর্ব থেকেই তিনি জয় পান। ২০০১ থেকে ২০১৬ টানা চার বার তিনি এই আসন থেকে জেতেন। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তাঁকে মন্ত্রী না করা হলেও বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার করেন মমতা। কিন্তু ২০২১ সালে তাঁর জায়গায় মোহনচন্দ্র নস্করকে ওই আসনে প্রার্থী করে তৃণমূল।