সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত ব্যক্তির দেহের ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, এটি নিপুন সাক্সেনার সিদ্ধান্তের স্পষ্ট লঙ্ঘন, যেখানে ধর্ষণের শিকারের পরিচয় প্রকাশ না করার কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে এই ধরনের ছবি ও ভিডিও ছড়ানো গুরুতর অপরাধ এবং এটি শুধু নিপুন সাক্সেনার সিদ্ধান্তকেই অবজ্ঞা করে না, বরং এটি মৃত ব্যক্তির সম্মান ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারকেও চরমভাবে লঙ্ঘন করে।
আদালত তৎক্ষণাৎ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দেয়, যাতে তারা অবিলম্বে মৃত ব্যক্তির নামের সমস্ত রেফারেন্স এবং তার ছবি ও ভিডিও ক্লিপিংস সরিয়ে ফেলে। এই আদেশ শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং সকল মিডিয়া মাধ্যমকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে তারা যথাসময়ে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়বস্তু মুছে ফেলে। আদালত উল্লেখ করেছে যে মৃত ব্যক্তির নাম এবং পরিচয় প্রকাশ করা একেবারেই অনুচিত এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে একটি আবেদন বিবেচনা করছিল যেখানে মৃত ব্যক্তির নাম ও পরিচয় প্রকাশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আদালত মনে করে, এই ধরনের বিষয়গুলি বিশেষ সংবেদনশীল এবং জনসাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তা শুধু মৃত ব্যক্তির পরিবারের জন্য অপমানজনক নয়, বরং সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আদালতের এই সিদ্ধান্ত সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রেরণ করেছে যে, আইন অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের উচিত ভুক্তভোগী বা মৃত ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করা এবং গোপনীয়তার অধিকার বজায় রাখা। আইন ও আদেশের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করাও সমাজের সকলের দায়িত্ব। অতএব, এই নির্দেশের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে যে, আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।