করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বেলাগাম তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন তিনি। চটি মারার ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। সোমবার ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'এই পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূল আছে । এত ভয় কেন মুখ্যমন্ত্রীর? গতকাল রাত থেকেই তাঁদের ভয় শুরু হয়েছে।' রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই মন্তব্যের পাল্টা দেন সৌগত রায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের টবিন রোড এলাকায় একটি জনসভা থেকে সৌগত রায় এই মন্তব্য করেন।
সৌগত বলেন, 'করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা শতাব্দীর সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা। ওদের রেলমন্ত্রীর যদি লজ্জা থাকে তাহলে পদত্যাগ করা উচিত। তারা এই দুর্ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে চায়। আর তাই শুভেন্দু প্রথমে বলল বালেশ্বর এর দুর্ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত আছে। আমার যদি বয়স কম হত তবে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম। ওর কি মাথা পাগল হয়ে গেছে? কোথায় বালেশ্বর- রাজ্যের বাইরে। আসলে দিল্লির নির্দেশেই ওরা এই কাজ করছে। ওদেরকে নির্দেশ দেওয়া আছে এমন কিছু করতে যাতে বিজেপির উপরে দোষ না পড়ে।'
তিনি আরও বলেন 'শুভেন্দু বদমাশ ছিল ঠিকই। ও আমাদের দলে ছিল। আমি ওকে রাখার জন্য চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও বিজেপির থেকে আগেই অর্থ নিয়ে নিয়েছিল তাই চলে গেল। আমরা আটকাতে পারলাম না।'
সৌগত আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনি বলেন 'ওদের আরও একটা ইডিয়ট আছে, সুকান্ত মজুমদার। সে গাছ-গাছালির ডাক্তার। মানুষের ব্যাপারে জানে না। বোটানির প্রফেসর ছিল। সে বলেছে তৃণমূলের লোকেরা ২০০০ টাকার নোট দিচ্ছে। সেই নোট কোথা থেকে পেল? উজবুক জানে না ২০০০ টাকার নোট এখনও বাতিল হয়নি। কোথা থেকে দিচ্ছি, তাতে তোমার বাবার কী? তোমাদের যদি কোন সহানুভূতি থাকত, তোমরা গিয়ে দিতে পারতে। কিন্তু একটা পয়সা দেবে না।'
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকেও নিশানা করেন সৌগত। বলেন 'এই কংগ্রেসের কিছু হবে না। কংগ্রেস শেষ হয়ে গিয়েছে। গতবার লোকসভায় রাজ্যে দুটো আসন ছিল। বিধানসভায় একটাও আসন নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি অধীর চৌধুরীকে পরেরবার বহরমপুর থেকে যদি জিততে হয় তবে তৃণমূলে যোগদান করতে হবে। না হয় রাজনীতি ছেড়ে দিতে হবে। কোন বাপের ক্ষমতা নেই অধীরকে বহরমপুর থেকে জিতিয়ে দেবে।'