Advertisement

Debangshu Bhattacharya : 'আরেকটা ২০১৯ সময়ের অপেক্ষা,' দেবাংশুর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক

আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যে ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন চলে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে রাজ্যের ৩টে পুরসভা দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। দিনহাটা, সাঁইথিয়া এবং বজবজ পুরসভা দখল করেছে শাসকদল। বিরোধীদের তো অভিযোগ রয়েছেই, এবার এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টচার্য।

দেবাংশু ভট্টাচার্য। ছবি-ফেসবুক/দেবাংশু ভট্টাচার্য
শুভম মুখোপাধ্যায়
  • কলকাতা ,
  • 11 Feb 2022,
  • अपडेटेड 1:05 PM IST
  • 'আরেকটা ২০১৯ সময়ের অপেক্ষা,'
  • দেবাংশুর পোস্ট ঘিরে বিতর্ক
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

আগামী ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্যে ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার দিন চলে গিয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে রাজ্যের ৩টে পুরসভা দখল করে নিয়েছে তৃণমূল। দিনহাটা, সাঁইথিয়া এবং বজবজ পুরসভা দখল করেছে শাসকদল। বিরোধীদের তো অভিযোগ রয়েছেই, এবার এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টচার্য।

নিজের ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু ভট্টাচার্য লেখেন, "ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। তাই লোকাল বডির ভোট গুলোতে অশান্তি বেশি হয়। পুলিশকে ১০০% "ফ্রি হ্যান্ড" দিতে হবে। প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। আরেকবার "২০১৮" হলে, আরেকটা "২০১৯" কিন্তু সময়ের অপেক্ষা। বারবার সবটা "২০২১" এর মতন হবে না। আর হাত জোড়া করে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেও, কিন্তু মানুষ ক্ষমা করবেন না। যারা অশান্তি করেন, ভবিষ্যতে তারা অনায়াসে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারবেন। তখন মার খেতে হবে কর্মীদের। মরতে হবে সাধারণ সদস্যদের। কিছু স্বার্থান্বেষী বদমায়েশের জন্য দলের মুখে কালি লাগতে দেবেন না, একজন অতি সাধারণ কর্মী হিসেবে অনুরোধ রইল।"

কার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট, সেই বিষয়ে অবশ্য খোলসা করেননি তিনি। তবে স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টি ঘিরে জলঘোলা হতে দেরি হয়নি। কারণ, তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। কখনও বেফাঁস মন্তব্য কিংবা দলবিরোধী আচরণ করেননি। এহেন দেবাংশু পুরভোটের আগেই এমন পোস্ট ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তিনি একটি লাইন উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, "আরেকবার "২০১৮" হলে, আরেকটা "২০১৯" কিন্তু সময়ের অপেক্ষা।" সেই লাইনটা ঘিরে বিতর্ক বেশি বেড়েছে। কারণ ২০১৮ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক ভোটলুঠের অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। প্রচুর পঞ্চায়েত কার্যত ভোটের আগেই চলে যায় শাসকদলের হাতে। সেই সঙ্গে বুথ দখল থেকে একাধিক অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। ঠিক তার পরের বছর ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খায় তৃণমূল। ২২টি আসনে জেতে জোড়াফুল শিবির। বিজেপি পায় ১৮টি সিট। উত্তরবঙ্গ থেকে একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দেবাংশু আদতে লোকসভা ভোটের বিপর্যয়ের দিকেই ইশারা করেছেন।

Advertisement

রাজ্যে পুর নির্বাচনে পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছে বিরোধী নেতারা। এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, "আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছি যে আপনারা আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন বিধাননগর থেকে শুরু করুন। ভোটারদের আস্থা অর্জুন করুন। না হলে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের বদনাম হতে আর কিছু বাকি নেই। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তাই মারপিট করতে পারব না। পশ্চিমবঙ্গ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের দৌরাত্ম্যে এবং পুলিশের অত্যাচারে গ্যাশ চেম্বার অফ ডেমোক্রেসি হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের সংগঠনে পরিণত হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।" ভোটে রাজ্য পুলিশের মোতায়েন নিয়ে বরাবরই অভিযোগ তুলে থাকেন বিরোধীরা। এবার কার্যত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেই সুরেই সুর মিলিয়ে দেবাংশু বলেন, "পুলিশকে ১০০% "ফ্রি হ্যান্ড" দিতে হবে। প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক।"

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement