World AIDS Day: এইডস নিয়ে মানুষকে আরও সচেতন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিলে বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী (Sreerupa Mitra Choudhury or Nirbhoy Didi)। টানা প্রায় দু'দিন এইডস রোগীদের সঙ্গে কাটালেন তিনি। তাদের তুলে দিলেন উপহার। শ্রীরূপা জানান, এইডস (AIDS) নিয়ে মানুষের মনে এখনও অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। তাই এই উদ্যোগ।
মঙ্গল এবং বুধবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছিলেন তিনি (BJP MLA Sreerupa Mitra Choudhury)। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, উৎসাহ দেন, পাশে থাকার আশ্বাস দেন। অন্য ভাবে একটা দিন কাটাতে পেরে বেজায় খুশি রোগীরা। বুধবার ছিল বিশ্ব এইডস দিবস (World AIDS Day)।
আরও পড়ুন: উত্তরপাড়ায় ফ্ল্যাটে মহিলার পচাগলা দেহ, ভদ্রেশ্বরে বৃদ্ধার সুইসাইড
মঙ্গলবার সাড়ে তিনশো জন এসেছিলেন শ্রীরূপা (BJP MLA Sreerupa Mitra Choudhury)-র মালদার বাড়িতে। শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটাই। একসঙ্গে কথাবার্তা বলেছি, আড্ডা মেরেছি, স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলাম। তাঁদের শীতবস্ত্র দিলাম। তারপর মালদা মেডিক্যাল কলেজে গিয়েছিলাম।
তাঁর (BJP MLA Sreerupa Mitra Choudhury) বাড়ি মালদার ইংলিজবাজারে আইটিআই মোড়ে। ওইদিন মূলত মালদা জেলার বাসিন্দা-এইডস রোগে আক্রান্ত সাড়ে তিনশো মানুষ হাজির হয়েছিলেন। কালিয়াচক, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ সেখানে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: মদের পুরনো স্টক নিয়ে বেজায় সমস্যায় বারমালিকেরা, বরফ-জলে কাজ হবে না!
শ্রীরূপা (BJP MLA Sreerupa Mitra Choudhury)র অভিযোগ, এইডস (AIDS) রোগীরে বেশ কয়েকটি সমস্য়ায় মধ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে এআরটি কাউন্সিলিং সেন্টার নিয়ে সমস্যা আছে। অ্যান্টিরেট্রো থেরাপির ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। পুষ্টি নিয়ে সমস্য় রয়েছে। বিশেষ করে বিধবা এবং শিশুদের মধ্য়ে। এই সমস্যা সমাধান করতে হবে।
আরও পড়ুন: Urfi থেকে Sanjida পোশাকের জন্য ট্রোলড হয়েছেন এই টেলিসুন্দরীরা
কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? তিনি বলেন, বাড়িতে আসতে পেরে তাঁরা তো উচ্ছ্বসিত। এমন জিনিস হতে পারে, কেউ ভাবেননি। আমার কাছে এসে সবাই সবাইকে জড়িয়ে ধরছে। এরকম কখনও দেখিনি। তাঁরা জানাচ্ছিলেন, তাঁদের কেউ আমন্ত্রণ জানান না।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের হানা, নৌকা থেকে ঠেলে ফেলে বাঁচলেন মৎস্যজীবী
তিনি জানান, অনেকের কাছে তাঁরা যেন অস্পৃশ্য। ছুঁলে বা পাশে বসলে কথা বললে তো রোগ ছড়ায় না। সবার কাছে এই বার্তা দেওয়ার জন্যই তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো। তিনি ৩০ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১ ডিসেম্বর প্রায় সারাদিন প্রচার করেছেন। বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।
কলকাতার দক্ষিণপনে মঞ্চ তৈরি করে শিশু-কিশোর-তরুণ সঙ্গীতের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আবার পরে মধুসুদন মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, মূল কথা হল সমাজে যাতে কেউ অস্পৃশ্য না ভাববে, আমি আমার কাজের মাধ্যমে সেই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তা হলেই তো সংক্রমণ এবং নিরাময় নির্ভর করে। মুখে ভাষণ দেওয়া একটা ব্যাপার। আর নিজে করে দেখানো। মানুষ যাতে তাঁদের ভয় না পায়, দূরে ঠেলে না রাখে। তিনি বলেন, মানুষের দৃষ্টিকোণ বদলাতে হবে।