High Cholesterol & Meat: কোলেস্টেরল বৃদ্ধি একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠছে। কোলেস্টেরল হল একটি মোমযুক্ত, আঠালো পদার্থ যা আপনার খাওয়া খাবার থেকে তৈরি হয় এবং রক্তনালীতে জমা হয়। এর মাত্রা বৃদ্ধি স্নায়ুগুলিকে অবরুদ্ধ করে, যা রক্ত প্রবাহকে ধীর করে দিতে পারে এবং আপনাকে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
কোলেস্টেরল বৃদ্ধিকারী খাবারের ক্ষেত্রে এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে মাংস। চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাংসে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে এবং সে কারণেই এটি খেলে কোলেস্টেরল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি কোলেস্টেরল বা হার্টের রোগী হন তবে আপনার মাংস খাওয়া এড়ানো উচিত।
প্রশ্ন হল, যদি মাংসে কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তাহলে মাংসপ্রেমীদের এর পরিবর্তে কী খাওয়া উচিত? এখানে আমরা আপনাকে জানাব যে মাংসে কতটা কোলেস্টেরল পাওয়া যায় এবং এর ভাল বিকল্প কী হতে পারে। এর আগে আপনার বুঝতে হবে কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক এবং হাই রেঞ্জ কী।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কী হওয়া উচিত
বর্ধিত কোলেস্টেরলের কারণ
লাল মাংস (Red Meat)
লাল মাংসের ক্ষেত্রে, এই তালিকায় গরুর মাংস, শুয়োরের মাংস এবং ছাগল বা ভেড়ার মাংস অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। হার্ভার্ড হেলথের রিপোর্ট অনুসারে , আপনার মাংসের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়ানো উচিত। আপনার ৩ আউন্স (৮৪ গ্রাম) এর বেশি রেড মিট খাওয়া উচিত নয়।
লাল মাংসের পরিবর্তে কী খাবেন?
হার্ভার্ডের রিসার্চ মনে করে যে আপনি যদি লাল মাংস খেতে পছন্দ করেন তবে আপনার এবার এর স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়া উচিত। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল অপশন। লাল মাংসের পরিবর্তে, আপনার সাদা মাংস অর্থাৎ স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল কম এমন মুরগি বা টার্কির ব্রেস্ট, মাছ এবং বিনস খাওয়া উচিত।
সাদা মাংসেও কোলেস্টেরল পাওয়া যায় (White Meat)
ucsf.edu- তে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে যে সাদা মাংস এবং লাল মাংস রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর একই রকম নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মানে সাদা মাংস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়তে পারে। গত কয়েক দশকে লাল মাংসের ব্যবহার হৃদরোগের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, এর বিকল্পে, সাদা মাংস এখনও একটি ভাল বিকল্প হিসাবে বিবেচিত হয়।
লাল মাংসে কত কোলেস্টেরল পাওয়া যায়
মাংসের পরিবর্তে কী খাবেন
Disclaimer: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।