নিজেকে বেশি বয়সের (Ageing) দেখাতে কেউই চায় না। কিন্তু খারাপ জীবনযাপন (Lifestyle) এবং ডায়েটের (Diet) কারণে আপনার মুখে বলিরেখা (Wrinkles) দেখা দিতে পারে। ত্বক খারাপ হওয়ার পেছনে প্রধানত দুটি কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একটি হল, অতিরিক্ত সূর্যের তাপে থাকা এবং অন্যটি হল গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্টস।
প্রোটিন বা চর্বি চিনির সঙ্গে একত্রিত হলে গ্লাইকেশন এন্ড প্রোডাক্টস তৈরি হয়। এই দুটি জিনিস নিয়ন্ত্রণ করা আপনার হাতে। রোদে বের হওয়ার আগে সর্বদা সানস্ক্রিন লাগান এবং আপনার খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার কারণে, ত্বকের অকাল বার্ধক্য আসে। যার কারণে মুখে বলিরেখা দেখা দেয়। আপনিও যদি স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল ত্বক (Healhy & Bright Skin) চান তবে এই জিনিসগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে খুবই সুস্বাদু কিন্তু এতে প্রচুর লবণ ও তেল থাকে। এগুলি উচ্চ তাপমাত্রায় তৈরি করা হয় যা ফ্রি র্যাডিক্যাল বের করে। এগুলির কারণে ত্বক নষ্ট হয়ে যায়। ফ্রি র্যাডিক্যাল বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন শুরু হয়। এর কারণে ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং দ্রুত বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। আপনি যদি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খুব পছন্দ করেন, তবে আলুর পরিবর্তে মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি করতে পারেন। এছাড়া ভাজার পরিবর্তে বেক করতে পারেন।
চিনি
ব্রণর মতো ত্বকের সমস্যার সবচেয়ে বড় কারণ চিনি। এটি কোলাজেনের ক্ষতি করে। কোলাজেন ত্বক পরিষ্কার রাখতে কাজ করে। যখন শরীরে চিনির পরিমাণ খুব বেশি হয়ে যায়, তখন বলিরেখা দেখা দেয়। আপনি যদি মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, তবে চিনি দিয়ে তৈরি খাবারের পরিবর্তে মিষ্টি ফল খান। এতে আপনার ত্বক সুস্থ থাকবে এবং মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাও পূরণ হবে।
সোডা এবং কফি
সোডা এবং কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন পাওয়া যায়। এ কারণে ঠিকমতো ঘুম হয় না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ ঘুমের ধরণ ত্বককে প্রভাবিত করে। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল ও বলিরেখা ঠিক মতো ঘুমাতে না পারার কারণে হয়ে থাকে। সোডা এবং কফি কমিয়ে দিন। কফির পরিবর্তে হলুদ দুধ পান করার চেষ্টা করুন। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা অ্যান্টি-এজিং হিসেবেও বিবেচিত।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহলের কারণে ত্বকের লালচে ভাব, ফোলা ভাব, কোলাজেন কমে যাওয়া এবং বলিরেখার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। শরীর থেকে পুষ্টি এবং ভিটামিনের ক্ষয় করে এবং ডিহাইড্রেশন বাড়ায়। এই সব জিনিস ব্রণ বাড়াতে পারে। ত্বক চকচকে ও টানটান রাখতে ভিটামিন এ প্রয়োজন। খুব সীমিত পরিমাণে অ্যালকোহল পান করুন। সেই সঙ্গে প্রচুর জল পান করুন, যাতে আপনি সম্পূর্ণ হাইড্রেটেড থাকেন।
উচ্চ তাপে রান্না করা খাবার
কিছু পলিআনস্যাচুরেটেড তেল যেমন ভুট্টা বা সূর্যমুখী তেলে উচ্চ পরিমাণে ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলি প্রদাহ এবং ফ্রি র্যাডিকেল বাড়াতে কাজ করে। আপনি যদি প্রতিদিন এই তেলগুলিতে উচ্চ আঁচে রান্না করা খাবার খান, তবে আপনার ত্বক দ্রুত খারাপ হবে। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট বেছে নিন। আপনি উদ্ভিজ্জ তেলও ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই এবং ফাইটোস্টেরল রয়েছে যা প্রদাহ কমায়।