Sikkim Traffic AI Operation: অটোমেটিক কিংবা ইলেকট্রনিক যান নিয়ন্ত্রণ এখন অতীত। আগামী ২৫ মে থেকে অতি-অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত হবে সিকিমের যান চলাচল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্য়মে নিয়ন্ত্রিত হবে যান চলাচল। এর ফলে যানজন কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপক বদল আসবে, অনেক বেশি সুবিধা হবে এবং যানজট কমবে বলে আশাবাদী সিকিম সরকার। দিল্লি ছাড়া গোটা দেশে এই বন্দোবস্ত আপাতত কোথাও নেই।
শৈলরাজ্য সিকিমের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে চালু হতে চলছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি। আগামী ২৫ মে থেকে এই প্রযুক্তিতে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হতে চলছে। পর্যটনের মরশুম হোক কিংবা স্বাভাবিক অবস্থা, সিকিম মানেই যানজটের রাজ্যে পরিণত হয়েছে বিগত কয়েক বছর থেকে। তার মধ্যে নানা রকম ডাইভারশন, আচমকা রুট বদলে বাইরের পর্যটকদের কাছে সিকিম যাত্রা ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। সেটা মোকাবিলা করতেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারস্থ হচ্ছে তারা।
পর্যটনের মরশুমে স্থানীয় গাড়ির পাশাপাশি বাইরের প্রচুর গাড়িও সিকিমে ঢোকে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের গাড়ি সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও বিহার, অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ডের প্রচুর গাড়ি আসে প্রতিদিন। পাহাড়ি এলাকার সংকীর্ণ রাস্তা, বেশিরভাগ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রধান ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকে। ফলে যানজট দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির পক্ষে যানজট বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে পর্যটকদের কাছে, এমন বার্তা গিয়েছে সিকিম সরকারের কাছে। তারপরই নড়চড়ে বসেছে তারা।
গ্যাংটকের এমজি মার্গের পাশেই আরিটার এলাকায় তৈরি করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রায় ৩.৭৫ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে পার্কিং লট। বহুতল এই পার্কিং লট গ্যাংটককে অনেকটা স্বস্তি দেবে বলে আশাবাদী সিকিম সরকারের পর্যটন ও পরিবহণ দফতর। আইআইটি গুয়াহাটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই পার্কিং লট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। ভূমিকম্পের জেরে এই পার্কিং লটের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সেকারণে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে সিকিমের সমস্ত গাড়ির নথিপত্র আপডেট করতে বলা হয়েছে। কারণ, শুধুমাত্র যান নিয়ন্ত্রণ নয় গাড়ির নথিপত্রও এই প্রযুক্তিতে পরীক্ষা করা হবে। সেই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ গাড়ির চালকদেরও চিহ্নিত করা হবে।