Saldanha, Kolkata's Iconic Goan Bakery: কলকাতার রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের কাছে সালদানা বেকারির ফ্রুট কেক খুবই জনপ্রিয়। এ বছর ডিসেম্বরেই কলকাতায় এই গোয়ানিজ বেকারির পথ চলার ৯৩ বছর পূর্ণ হয়েছে। এটাই এ শহরের একমাত্র গোয়ানিজ বেকারি।
উবেলিনা সালদানা এবং তাঁর স্বামী, যাঁরা মূলত গোয়ার বাসিন্দা ছিলেন, ১৯৩০ সালে এই কেক-পেস্ট্রির ব্যবসা চালু করেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বেকারির ব্যবসার দায়িত্ব গিয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের কাঁধে। উবেলিনার মৃত্যুর পরে তাঁর ছেলের বউ মোনা এই ব্যবসার হাল ধরেন। বর্তমানে এই ব্যবসা সামলাচ্ছেন মোনার নাতনি আলিশা আলেকজান্ডার, সঙ্গে আছেন মা ডেবরা। পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী আলিশা তাঁর চাকরি ছেড়ে এই ব্যবসায় চলে আসেন। লন্ডন থেকে পেস্ট্রি শেফের উপর ডিপ্লোমা কোর্স করে কলকাতায় ফিরে কেক-পেস্ট্রির নিত্য-নতুন স্বাদে আরও সাজিয়ে তুলেছেন সালদানা বেকারি। আরও দীর্ঘ হয়েছে খাবারের তালিকা।
করোনা মহামারী-লকডাউনের সময় কর্মীর অভাবে সালদানা বেকারি সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। তবে এখনও ফের পুরনো ছন্দে ফিরেছে সালদানা। বড়দিনের উৎসবে শীতের আমেজ গায়ে মেখে কেক-পেস্ট্রিতে মজেছেন কলকাতার অসংখ্য মানুষ। এখনও এখানে কাঠের আগুনে কেক-পেস্ট্রি বানানো হয়। জ্বালানি কাঠের বিপুল দাম আর তা ব্যবহারের জন্য দক্ষ কারীগরের অভাবে কাঠের আগুনে হাতে গোণা কেক বানানো হয়। এখন আধুনিক ইলেকট্রনিক ওভেনেই বেশিরভাগ কেক-পেস্ট্রি তৈরি করছে সালদানা।
সালদানা বেকারির বর্তমান মালিক ডেবরা আলেকজান্ডার সালদানা বলেন, “আমাদের কাছে ঐতিহ্যবাহী আইটেমগুলির পাশাপাশি একাল-সেকালর পছন্দের মেনু রয়েছে। আমরা সেগুলি ধরে রেখেছি। কারণ, এগুলির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে যা আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না! নারকেল ম্যাকারুনের পাশাপাশি আখরোটের কেক বা সমৃদ্ধ ফ্রুট কেকের ক্ষেত্রে আমাদের আইটেমগুলির স্বাদ অতুলনীয়।”
সালদানা বেকারির চাহিদা এখন বাড়ছে। ভোর থেকে বেকারির সামনে অসংখ্য মানুষ লাইন দিয়ে অর্ডার দিয়ে কেক নিয়ে যান। সালদানার ফ্রুট কেক বেশ জনপ্রিয়! বড়দিনের মরশুমে সালদানার কাপকেক, হার্ট কেক, জ্যাম কুকি, আপেল টার্ট, লেমন টার্ট, চকোলেট বোট, ফ্রেঞ্চ ম্যাকারুন, অপেরা কেক স্লাইজ, চিজ কেক না খেলে উৎসবের আসল স্বাদ থেকেই হয়তো বঞ্চিত থেকে যাবেন!