সম্প্রতি ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচানো নিয়েও বিতর্ক জারি রয়েছে। এ বিষয়ে এখন ঢুকে পড়েছেন পাকিস্তান দলের কোচ ও ডিরেক্টর মহম্মদ হাফিজ। টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) পরামর্শ দিয়েছেন হাফিজ। কিন্তু এই সময়ে তিনি তাঁর দল এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দুর্দশার কথাও ফাঁস করে দেন।
সব বোর্ডকে একই ফি দেওয়া হোক
হাফিজ বলেন, 'আইসিসি সব বোর্ডকে আলাদা আলাদা ফি দেয়। এ কারণে দরিদ্র দেশের খেলোয়াড়রা টি-টোয়েন্টি লিগ খেলায় বেশি মনোযোগ দেয়। এ কারণেই টেস্ট ক্রিকেট মরে যাচ্ছে।' এই বিবৃতিতে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন পিসিবির আর্থিক সঙ্কটের কথা। একই সঙ্গে পরোক্ষভাবে এটাও বলা হয়েছে যে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা বাকি টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।' হাফিজ বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেট বাঁচাতে আইসিসিকে আমার একটাই পরামর্শ। বিশ্বের টি-টোয়েন্টি লিগ বা গেমগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিসি যেভাবে এনওসি দেয়। একইভাবে, টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচাতে, তাদের উচিত সমস্ত ক্রিকেট বোর্ডের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড ম্যাচ ফি নিয়ে আসা। এর মাধ্যমে প্রতিটি দেশের খেলোয়াড়রা সমান পারিশ্রমিক পাবেন।'
প্রাক্তন পাকিস্তানি খেলোয়াড় হাফিজ বলেছেন, 'অনেক দেশেই ভাল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং তারা তাদের খেলোয়াড়দের খুব যত্ন নেয়। কিন্তু কিছু দেশ আছে যাদের এত সম্পদ বা অর্থ নেই। এই কারণেই টি-টোয়েন্টি লিগে তাদের খেলোয়াড়রা বেশি খেলে। এ কারণে টেস্ট ক্রিকেটে মানসম্মত ম্যাচ ফি থাকা উচিত।'
স্টিভ ওয়া প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন খেলোয়াড় স্টিভ ওয়া সম্প্রতি প্রথম এই কথা বলেছিলেন। আসলে, আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) দ্বিতীয় স্তরের টেস্ট দল ঘোষণা করেছে। এই দলে একজন নতুন অধিনায়ক-সহ সাতজন আনক্যাপড খেলোয়াড় রয়েছেন। এই বিষয়ে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডে স্টিভ ওয়া লিখেছেন, 'ক্রিকেট বোর্ডরা টেস্ট ক্রিকেটকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে রাজি নন। দক্ষিণ আফ্রিকা বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে এটা প্রকট হচ্ছে। আমি যদি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা হতাম আমি এই সিরিজটা না খেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমি জানি না ঠিক কি কারণে এই সিরিজটা ওরা খেলছে। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি তো এটা রীতিমতো অসম্মান করা হয়েছে তাই না। আমার মনে আইসিসির উচিত ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশের বোর্ডদের নিয়ে এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা।'