শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ডার্বি। সুপারকাপে এই ম্যাচের পরিস্থিতি কার্যত 'ডু অর ডাই'। শুক্রবার সবুজ মেরুন বা লাল হলুদের মধ্যে যে দল জিতবে তারা চলে যাবে সেমিফাইনালে। এই অঙ্ক একদম জলবৎ তরলং। কিন্তু, ড্র হলে কী হবে? সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে ইস্টবেঙ্গল।
বলাই বাহুল্য, সুপারকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় লাল হলুদ শিবির। ড্র করলেই তারা সেমিফাইনালে। আর মোহনবাগানকে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে। কোন অঙ্কে এমন সমীকরণ তৈরি হয়েছে? জোড়া ম্যাচ খেলেছে দুই দলই। সেই দুটি ম্যাচই জেতায় তাদের পয়েন্ট ৬। এমতাবস্থায় যারা শুক্রবার ডার্বিতে জিতবে তারাই যাবে সেমিফাইনালে। তবে পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলে দু'দলের গোল সংখ্যার তফাত রয়েছে। সুপার কাপের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপের দু'দলের পয়েন্ট সমান থাকলে গোলপার্থক্যের অঙ্কে অবস্থান ঠিক হয়। দু'দলেরই গোলপার্থক্য সমান। অর্থাৎ ২। সেক্ষেত্রে ডার্বি ড্র হলে গোলপার্থক্যে কোনও বদল ঘটবে না। তখন দেখা হবে, কোন দল বেশি করেছে? এতেই এগিয়ে আছে ইস্টবেঙ্গল।
গ্রুপের দুই ম্যাচে ৪টি গোল করেছে সবুজ মেরুন। আর গোল খেয়েছে ২টি। গোলের তফাৎ ২। অন্যদিকে, লাল হলুদ ৫ গোল করে খেয়েছে ৩টি। গোলের ফারাক ২। নিয়ম অনুযায়ী গোল করায় এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল। তারা এ পর্যন্ত করেছে ৫টি গোল। ডার্বি ড্র হলে সহজ অঙ্কেই সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবে লাল হলুদ। সেক্ষেত্রে সুপার কাপ থেকে বিদায় নিতে হবে সবুজ মেরুনকে। ফলে মোহনবাগানকে টিকে থাকতে গেলে যেনতেনভাবে জিততেই হবে। আর ইস্টবেঙ্গল ড্র করলেই পৌঁছে যাবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে।
মোহনবাগানের সামনে যখন মরণবাঁচন পরিস্থিতি তখন দলও খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। কারণ ৭ ফুটবলার নেই। তারা এএফসি এশিয়ান কাপে খেলতে চলে গিয়েছে। দুজন ফুটবলারের চোট। ফলে খানিকটা দুর্বল নিয়েই নামতে হবে মোহনবাগানকে। সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স বেশ ভালোই। তারা আক্রমণও শানাচ্ছে। আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে দলের। তবে ডার্বি আলাদা ম্যাচ। ডার্বিতে ভালো খেলার পাশাপাশি থাকে স্নায়ুর চাপ। ফলে আগে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না!