১২ এপ্রিল bangla.aajtak.in-এ লেখা হয়েছিল, ২০২৪-২৫ মরসুমেও ইস্টবেঙ্গলেই (East Bengal) থাকছেন তিন বিদেশি। যার মধ্যে ছিলেন সউল ক্রেসপোও (Saul Crespo)। এবার সেই খবরে শিলমোহর পড়ে গেল। এ নিয়ে ক্লেইটন সিলভা ( Cleiton Silva) ও সউল ক্রেসপোর এই মরসুমে থাকা পাকা হয়ে গেল। আগেই ক্লেইটনের সঙ্গে চুক্তিবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। তবে শুধু এই মরসুম নয়, ইস্টবেঙ্গল ক্রেসপোর সঙ্গে দুই বছরের ছুক্তি সেরে ফেলেছে।
লাল-হলুদ গত মরসুমে ১২ বছর পর কোনও সর্বভারতীয় ট্রফি জেতে। আর সেই সুপার কাপ জেতার পেছনে বড় কৃতিত্ব ছিল এই স্প্যানিশ ফুটবলারের। ইমামি ইস্ট বেঙ্গল এফসি প্রধান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) বলেন, 'সউল টিম কম্পোজিশনের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। গত মরসুমে যখনই ভাল কিছু করতে পেরেছে, তখনই তার পেছনে দারুণ অবদান ছিল ক্রেসপোর। সল যদি মিডফিল্ডে নেতৃত্ব দেয়, তা হলে বিপক্ষের অ্যাটাকাররা সমস্যা পড়েন, আর আমাদের আক্রমণকারীরা ভাল সুযোগ পায়।'
দারুণ প্রথম মরসুম কাটিয়েছেন তিনি। চোটের জন্য বাদ পড়তে না হলে দলের আরও ভাল হল হত বলেই আফসোস করেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। প্রথম মরসুমে সাতটি গোল এবং একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্যই মরসুমের শুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ওঠে লাল-হলুদ। ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার ওড়িশার বিরুদ্ধে সুপার কাপের ফাইনালে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন।
ডার্বিতেও গোল করেছেন ক্রেসপো। বাকি তিনটি গোল করেছেন কেরালা ব্লাস্টার্স এফসি (Kerala Blasters FC) এবং বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে। তাও পরপর তিনটি ম্যাচে। ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে, ক্রেসপো আইএসএল-এ ২২ পাসে গোল করেন। ইস্টবেঙ্গল খেলোয়াড়ের মধ্যে তৃতীয় সর্বাধিক পাসের রেকর্ড। শুধু তাই নয় শোনা যাচ্ছে, হিজাজির (Hijazi Maher) সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। তাঁকেও রেখে দেওয়ার কথা কিছুদিনের মধ্যেই ঘোষণা করতে পারে ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল সই করে ক্রেসপো বলেন, 'এই ঐতিহাসিক ক্লাবের সাথে আমার যাত্রা চালিয়ে যেতে পেরে আমি খুব খুশি। এই দলটি এখন আমার পরিবার। আমি ভক্তদের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি এবং আমি কৃতজ্ঞ। তাদের সমর্থনের জন্য।'