হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে আফগানিস্তানকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইট ওয়াশ করে ফেলল ভারতীয় দল। তবে লড়াইটা একেবারেই সহজ ছিল না ভারতের জন্য। শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নামলেও পরপর চার উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দল। চার উইকেট হারিয়েই ২১২ রানের পাহাড় গড়ে ভারতীয় দল।
উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়তে থাকলেও একা দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। রিঙ্কু সিং-এর সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন। মাত্র ৬৯ বলে ১২১ রান করেন রোহিত। ১১টা চার ও আটটা ছক্কায় সাজানো তাঁর ইনিংস। তবে এখানেই শেষ নয়, দুই সুপার ওভারের প্রথমটায় দুটো ছক্কা আর শেষ সুপার ওভারে ১টা ছক্কা ভারতীয় দলকে জিততে সাহায্য করে। তবে ভুললে হবে না রিঙ্কু সিং-এর লড়াই। ৩৯ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। দু'টো চার ও ছ'টা ছক্কা মারেন তিনি।
তবে আফগানিস্তানও ছেড়ে দেয়নি। প্রথম উইকেটে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম জার্দান। দুই জনেই ৫০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। দুই উইকেট হারানোর পর আজমাতুল্লাহ ওমারজাই গোল্ডেন ডাক করে আউট হন। তবে মহম্মদ নবী ও গুলবাদিন নায়েব চালিয়ে খেলতে থাকেন। ২৩ বলে ৫৫ রান করে নট আউট থাকেন নায়েব। ১৬ বলে ৩৪ রান করেন অভিজ্ঞ নবী। ২১২ রানে শেষ হয় আফগানদের ইনিংস।
প্রথম সুপার ওভারে ১৬ রান করে আফগানিস্তান। ভারতীয় দলের ইনিংসও থেমে যায় সেখানেই। তবে ভারতীয় দলের যসশ্বী জয়সওয়ালকে ব্যাট করতে নামানো নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। বিতর্ক হতে পারে শেষদিকে রোহিত শর্মার ব্যাট করতে করতে উঠে যাওয়া নিয়েও। নিয়ম অনুযায়ী রিটায়ার্ড হার্ট হলে তবেই তিনি উঠতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি। তা হলে কী করে তিনি দ্বিতীয় সুপার ওভারে ব্যাট করতে এলেন তিনি?
দ্বিতীয় সুপার ওভারে ভারতীয় দল দারুণ শুরু করে। রোহিত প্রথম বলে ছক্কা মারেন। পরের বলেই চার। তারপর সিঙ্গেল নিয়ে রিঙ্কু সিংকে স্ট্রাইক দিলেও আউট হন তিনি। পরের বল খেলতে আসেন সঞ্জু স্যামসন। তিনিও রান করতে পারেননি। তবে এই বলেই রান আউট হন রোহিত। ১৩ রান করতে হত আফগানদের। তবে রবি বিষ্নোই সেই রান করতে দেননি। দুই উইকেট তুলে নেন তিন বলের ভেতরেই।