ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে জিততে হলে ২ গোল করতে হবে মোহনবাগান সুপার জায়েন্টকে (Mohun Bagan Super Giant)। সেমিফাইনালে প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকায় ঘরের মাঠে নামার আগে কিছুটা হলেও চাপে আন্তনিও লোপেজ হাবাসের (Antonio Lopez Habas) দল। রবিবারের এই ম্যাচ জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করতে তাই সেটপিসে ভরসা রাখতে চাইছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
গোপনীয়তা মোহনবাগান অনুশীলনে
যুবভারতীর অনুশীলন মাঠ পুরোটাই কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে চলছে অনুশীলন। রণকৌশল ফাঁসের আশঙ্কায় মাঠের অন্তত পাঁচশো মিটার আগে আটকে দেওয়া হয় সমর্থক ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। শুক্রবার অনুশীলন শেষে দলের হয়ে যারা খেলতে নামবেন, তাদের আলাদা করে নিয়ে গিয়ে এই বিশেষ ট্রেনিং সেশন চালান হাবাস। আগের লেগে আর্মান্দো সাদিকু লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে তিনি নেই। তাঁর জায়গায় জেসন কামিন্স শুরু থেকেই নামবেন বলে আশা করা যায়। সেই কারণে অনুশীলনেও বাড়তি তৎপরতা দেখা গেল কামিন্সকে নিয়ে। দুই প্রান্ত দিয়ে মনবীর সিংহ, লিস্টন কোলাসো-রা বল নিয়ে উঠে পেনাল্টি বক্সে সেন্টার করছেন, গোল করার জন্য ঝাঁপাচ্ছেন জেসন কামিন্স, দিমিত্রি-রা।
সেট পিসে জোর মোহনবাগানের
অনুশীলনে ভুল করলে মাঝেমধ্যেই রেগে যাচ্ছিলেন হাবাস। আবার স্ট্রাইকাররা গোল করলে আনন্দে ভাসছেন। মোহনবাগানের অবস্থা এখন তেমনই। গোল খাওয়া চলবে না আবার, বিপক্ষ ওড়িশার জালে বলটাও ঢোকাতে হবে। সেই কারণে ডিফেন্সকেও শক্তিশালি হতে হবে। শুক্রবারের অনুশীলনে বিশালকে ডেকে হাবাস বুঝিয়ে দেন কর্নার বা ফ্রি কিকের সময় তাঁকে ঠিক কোথায় দাঁড়াতে হবে। হেক্টর ইউতসে, আনোয়ার আলি, শুভাশিস বসুদেরও এদিন পরামর্শ দিচ্ছিলেন হেড কোচ।
ম্যাচের আগে ওড়িশা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন হেক্টর। তিনি জানিয়ে দেন, 'যুবভারতীতে কৃষ্ণ গোল করতে পারবে না। আমিই ওকে আটকাব।' দলে ফিরতে পারেন সাহাল আব্দুল সামাদও। অনুশীলন শেষ করে দিমিত্রি বললেন, ‘ওড়িশাকে হারানোর ব্যাপারে আমরা প্রবল ভাবেই আত্মবিশ্বাসী। এই ম্যাচে নিজেকে উজাড় করে দেওয়াই লক্ষ্য।’