মণিপুর জ্বলছে। উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের একাধিক ফুটবলার বাংলার বিভিন্ন দলে নিয়মিত খেলতে আসেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে তাঁদের রীতিমত উৎকণ্ঠায় দিন কাটাতে হচ্ছে। তবে কলকাতার ক্লাবগুলি যথা সম্ভব পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার চিঙ্গলেনসানার বাড়ি পুড়েছে। কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সংঘাত এতটাই তীব্র হয়েছে যে সারা দেশের উদ্বেগ এখন মনিপুরকে ঘিরে। কলকাতা লিগে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে সাত ফুটবলার খেলছেন। তাদের কয়েকজন ফুটবলার গোটা পরিবার নিয়ে কলকাতাতে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। মহামেডান ক্লাবের নিয়মে এর অনুমতি নেই। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতে নিয়ম ভাংতেই হচ্ছে সাদা কালো শিবিরকে।
রাজারহাটে ফ্ল্যাট নিয়ে সমস্ত ফুটবলাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমটাই জানিয়েছেন মহামেডান সচিব ইস্তিইয়াক আহমেদ রাজু। তিনি বলেন, ’ এই অবস্থায় নিয়মের কথা ভাবার মানেই হয় না। এটা মানবিক বিষয়। আমাদের গোলরক্ষক কোচকে পরিবার নিয়ে চলে আসতে হয়েছে। আমরা তাঁর জন্য রাজারহাটে ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করেছি।‘ শুধু তাই নয়, কলকাতা লিগে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে শনিবার নামছে মহামেডান। সেই ম্যাচে নিরবতা পালন করবে সাদা-কালো শিবির। মহামেডান সচিব বলেন, ‘আজ আমাদের ডায়মণ্ডহারবারের সঙ্গে খেলা রয়েছে। খেলার আগে আমরা নীরবতা পালন করব মনিপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনার স্মরণে।‘
রাজু আরও বলেন, ‘ওরা আমাদের ক্লাবে যোগ দিয়েছে। অর্থাৎ আমাদের পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ওদের পরিবারের বিপদে আমাদের পাশে দাঁড়ানো কর্তব্য। আমরা ওদের বলেছি পরিবারকে নিয়ে এসো। দরকার হলে আরও কাউকে যদি নিয়ে আসতে হয় নিয়ে এসো। আমরা পাশে রয়েছি, ব্যবস্থা করে দেব। রাজারহাটে ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনদিন আগে সিআইটি রোডে চারটে ফ্ল্যাট নিয়েছি।‘
মনে উৎকণ্ঠা নিয়েই কলকাতা লিগে দারুণ পারফর্ম করে চলেছেন জেমস সিং, বিকাশ সিং সহ আরও ৫ মনিপুরি ফুটবলার।
কলকাতাই এখন কার্যত হয়ে উঠেছে মনিপুরি ফুটবলারদের সেফ হাউজ। কলকাতার বিভিন্ন ক্লাবে প্রায় ৩০ জন ফুটবলার খেলছেন। সব ক্ষেত্রে হয়ত ফুটবলাররা মহামেডানের মতো সুযোগ পাচ্ছেন না তবে সমস্ত ক্লাবই মণিপুরের ফুটবলার ও তাদের পরিবারকে আগলে রাখছেন।