কংগ্রেসের (Indian National Congress) গড় বলে পরিচিত বহরমপুর। সেখানে বাম আমলেও দাপট ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury)। সেই দাপট কিছুটা কমে গেলেও তৃণমূল (Trinamool Congress) আমলেও জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস নেতা। হয়েছেন পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতাও। এমন প্রার্থীর বিরুদ্ধেই এবার ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে (Yusuf Pathan) নামিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে সকলেই চমকে যান। তবে অধীর দুর্গে ফাটল ধরাতে তৈরি অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, 'সবকিছু পরিবর্তন হয়। আর তা ভালোর জন্যই ঘটে। এখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে এবং আমিও তাদের সাহায্য করতে চাই। শিগগিরই ফিরে এসে প্রচার শুরু করব।'
২০১১ সালে গোটা বাংলায় পরিবর্তন আসার আগেও যেমন এই বহরমপুরে অধীর জিততেন, আজও তিনি সমান ফ্যাক্টর। তাই কংগ্রেসের সবচেয়ে শক্তিশালী দুর্গেও পরিবর্তন ঘটাতে মরিয়া তৃণমূল। এই আসনের তৃণমূল প্রার্থী আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভালোবাসা পেয়েছি। কলকাতার হয়ে খেলার সময় (KKR) আমাকে অগাধ ভালবাসা দিয়েছে এই রাজ্য। তাই আমি এটা ফিরিয়ে দিতে চাই। সংসদে জনগণের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। টিএমসি আমাকে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে।'
ইউসুফ পাঠান প্রার্থী হওয়ায় ভাই ইরফান পাঠান (Irfan Pathan) লেখেন, ‘তোমার ধৈর্য, দয়ালু মানসিকতা, কোনও সরকারি পদে না থাকা সত্ত্বেও দরিদ্র মানুষের সেবা করার বাসনা সহজেই চোখে পড়ে। আমি আত্মবিশ্বাসী, রাজনীতিক হিসেবে তুমি সাধারণ মানুষের জীবনে তফাৎ গড়ে দেবে’। ক্রিকেটার হিসেবে দেশবাসীর মন জয় করেছেন আগেই, রাজনীতিক হিসেবে ইউসুফ কতখানি সফল হন সেটাই এবার দেখার।