শিলিগুড়ির ডেঙ্গি পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। তা নিয়ে নিয়ন্ত্রণে পুরসভার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কোনও সমন্বয় নেই। এই অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। ওই চিঠিতে শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন। বিজেপি বিধায়ককে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, শঙ্কর ঘোষের তথ্য সঠিক নয়।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে শঙ্কর লিখেছেন,শিলিগুড়িতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা নজিরবিহীন এবং অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন চার হাজার। এই পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য দফতর এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবই দায়ী।' এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিজেপি বিধায়ক।
শিলিগুড়ির ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্করের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। তাঁর কথায়,'উনি নির্বাচনে নিজের ওয়ার্ডেই দ্বিতীয় স্থানে। স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ থাকাকালীন কিছুই করেননি। ওঁর বাম থেকে বিজেপিতে চলে যেতে বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ হয়নি। প্রচারের আলোয় থাকতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। ওঁর কথার উত্তর দেওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা বোধ করি না।'
শঙ্করের সমন্বয়ের অভিযোগ মানতে চাইছে না স্বাস্থ্য দফতরও। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক বলেন,'এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না৷ ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা ২-৩। আগের চেয়ে ডেঙ্গির প্রকোপও অনেক কমে গিয়েছে।'
রাজ্য়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে শাসক দলকে নিশানা করেছেন বিরোধী নেতারা। কলকাতার পরিস্থিতির জন্য বিরোধী আক্রমণের মুখে মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ দিন তিনি বলেন,'শুধু এ রাজ্যেই নয় আরও অনেক জায়গায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরে বেড়েছে ডেঙ্গি। আমাদের দেশের হায়দরাবাদেও ডেঙ্গি প্রকোপ দেখা দিয়েছে। মানুষ সচেতন না হলে প্রধানমন্ত্রী আসলেও আটকাতে পারবেন না! উত্তরপ্রদেশের প্লেটলেটের জায়গায় ডেঙ্গি আক্রান্তকে লেবুর রস দেওয়া হয়েছিল। পরে তিনি মারাও গিয়েছেন।'
আরও পড়ুন- বাংলাদেশিরা পাকিস্তানের সঙ্গে থাকতে চেয়েছিল, আমরাই অবিচার করেছি: ইমরান