"শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary) দল ছাড়বেন নাকি নিজের দলের কাছে আত্মসমর্পণ করবেন সেটা তাঁর বিষয়। তিনি কী করবেন সেটা কারও কাছে স্পষ্ট নয়।" বুধবার হাওড়ায় এক চায় পে চর্চায় যোগ দিয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP) নেতা সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu)। তিনি আরও বলেন, "আমাদের দলে ব্যক্তির কোনও প্রভাব নেই। আমরা জনগণকে নিয়ে আশাবাদী। কোনও ব্যক্তি আসুন, না আসুন বা চলে যান, আমরা ব্যক্তি নিয়ে ভাবি না। জনগণকে নিয়ে ভাবি।" শুভেন্দু-জট কেটে যাওয়া প্রসঙ্গে সায়ন্তনের আরও মন্তব্য," তিনি ঘরে ফিরবেন না কি ঘরের বাইরে যাবেন সেটা বোঝার সময় এখনও আসেনি। গতকাল টিভিতে যা দেখেছি তাতে তৃণমূলের (TMC) এক প্রবীণ সাংসদ যা বলার বলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী বা বাকি কারও মন্তব্য চোখে পড়েনি। সুতরাং এই নিয়ে আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। শুধু বলব, রাজ্যের এই হিটলার অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ যে যুদ্ধের ডাক দিয়েছেন সেই যুদ্ধে যাঁরা সামিল হতে চান তাঁদের জন্যে আমাদের দরজা খোলা থাকবে।"
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকের পরেই শোনা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭ তারিখের সভামঞ্চে হয়ত উপস্থিত থাকতে পারেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, "শুভেন্দুবাবু ৭ তারিখ কী করবেন সেটা তখন দেখা যাবে। তিনি এখনও পর্যন্ত শুধু মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন। দল ছাড়েননি। দলে থাকবেন না দল ছাড়বেন সেটা তাঁর বিষয়। জনগণ তৃণমূলের থেকে সরে গেছেন।"
এদিন রাজ্যের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিকেও তীব্র কটাক্ষ করেন সায়ন্তন। তিনি বলেন, "মানুষের ঘরেই যদি যেতে হয় তাহলে সেটা গত ১০ বছরে সরকার করেনি কেন? এখন মরণকালে হরিনাম করতে হচ্ছে। এখন যখন সরকারের শ্মশানে যাবার সময় হয়ে গেছে তখন অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণ করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।" তাঁর আরও কটাক্ষ, "তৃণমূলের নেতারা ঘর বানিয়ে দেবেন বলে, চাকরি করে দেবেন বলে টাকা নিয়েছিলেন। এখন সেইসব নেতাদের দুয়ারে দেখলে মানুষ গাছে বেঁধে রেখে দেবেন। ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখবেন।"
অন্যদিকে পিকের প্রসঙ্গেও তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারকে একহাত নেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন,"সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পিকেকে। সেটা বাংলার জনগণের টাকা। সেই টাকা ফেরত দিতে হবে।"