শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে উঠল ভূমিকম্পে। ঠিক সন্ধে ৬ টা ১৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তরবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশ, অসম ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। ভুটানেরও বেশ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কোচবিহার এবং দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অংশেও ভূমিকম্পের ঝটকা ভালই অনুভব করা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।এর আগে ২০১৫ ও ২০১১ সালের ভূমিকম্পের কথা এখনও টাটকা রয়েছে মানুষের স্মৃতিতে। সেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা ভেবেই এদিন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গবাসী। ভূমিকম্প অনুভূত হতেই পথে নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ। আফটারশক কখন হবে সেই আশঙ্কায় অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
কোথায় উৎস, কম্পাঙ্ক কত?
পাওয়া খবর জানা গিয়েছে, মেঘালয়ের উত্তর গারো হিলস এলাকা ভূমিকম্পের উৎস চিহ্নিত হয়েছে। ভূমিকম্পের কম্পন রিখটার স্কেলে ধরা পড়েছে ৫.২।
এর আগে ২০১১ সালে এবং ২০১৫ সালে সিকিম ও নেপালে দুটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। যাতে প্রচুর মানুষ মারা যান। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। যার জেরে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক বাড়ি-ঘরে ফাটল দেখা দেয়। সেই স্মৃতি এখনও সতেজ রয়েছে।তার উপর সম্প্রতি তুরস্ক ও মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে গোটা দেশ তছনছ হয়ে যায়। যার পর মানুষের মধ্যে ভয় আরও জাঁকিয়ে বসেছে।
ভূমিকম্প কেন হয়? পৃথিবী মূলত চারটি স্তর নিয়ে গঠিত। ভিতরের কোর, বাইরের কোর, ম্যান্টেল এবং ক্রাস্ট। ভূত্বক এবং উপরের ম্যান্টেল কোরকে লিথোস্ফিয়ার বলা হয়। এই ৫০ কিলোমিটার পুরুস্তরটি টেকটোনিক প্লেট নামে কয়েকটি বিভাগে বিভক্ত। অর্থাৎ পৃথিবীর উপরের পৃষ্ঠটি ৭টি টেকটোনিক প্লেট দিয়ে তৈরি। এই প্লেটগুলি কখনই স্থিতিশীল থাকে না। এগুলি ক্রমাগত চলতে থাকে। যখন এই প্লেটগুলি একে অপরের দিকে চলে যায়, তখন সংঘর্ষ হয়। কখনও কখনও এই প্লেটগুলিও ভেঙে যায়। তাদের সংঘর্ষের কারণে প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত হয়। সেই কারণে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়।