মতুয়া সম্প্রদায় (Matua)। বঙ্গ রাজনীতির অত্যন্ত চর্চিত একটি শব্দবন্ধ। একটি বড় সংখ্যক মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, আবেগ। আবার রাজনীতির কারবারিদের কাছে ভোটব্যাঙ্ক। বাম আমল থেকে যা চলে আসছে, তৃণমূল আমলেও তার অন্যথা হয়নি। আবার বিজেপি-ও তাকিয়ে ওই ভোটব্যাঙ্কের দিকে। এহেন মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের বংশে এবার নাটকীয় পট পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বড়মা বীণাপানি দেবীর মৃত্যুর পর থেকেই যে অশান্তি ছাইচাপা ছিল, তা এবার প্রকাশ্যে। প্রশ্ন হল, বড়মা বীণাপানি দেবীর প্রয়াণের পর মতুয়া ঐতিহ্যের দাবিদার কে?
মমতাবালা বনাম শান্তনু গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব
উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে রবিবার রাতে দেখা গেল, বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের সমর্থকরা মুখোমুখি অশান্তিতে জড়ালেন। তৃণমূলের দাবি, ঠাকুরনগরে ঠাকুর পরিবারের যে ঘরে বড়মা বীণাপানি দেবী থাকতেন, সেই ঘর জোর করে দখলের চেষ্টা করেন প্রথমে শান্তনু ঠাকুর। ওই ঘরে বর্তমানে বাস করেন মমতাবালা ঠাকুর। শান্তনু বীণাপানিদেবীর নাতি। মমতাবালা ঠাকুর বীণাপানিদেবীর পুত্রবধূ। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জিতে বিজেপি-র সাংসদ হন শান্তনু ঠাকুর।
এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও পোস্ট করল তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেস তাদের এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছে, 'বিজেপি-র গুন্ডামি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বনগাঁয় আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখা গেল, বিজেপি-র শান্তনু ঠাকুর নিজের পোষা গুন্ডাদের নিয়ে আমাদের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের ঘরে হিংসাত্মক হামলা চালানোর চেষ্টা করছে।'
ওই ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, কিছু লোক গেট ভাঙার চেষ্টা করছে। শান্তনু ঠাকুরের সাংবাদিকদের বলেন, 'সম্পত্তির আমিও বৈধ অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও মমতাবালা ঠাকুর জোর করে পুরো সম্পত্তি অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। এমনকী এই ঘরের একটি অংশ তৃণমূলের কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। আমিও আইনগত ভাবে সম্পত্তির একজন অংশীদার। আমারও অধিকার আছে। কিন্তু মমতাবালা ঠাকুর অবৈধ ভাবে নিজের হাতে নিয়ে নিচ্ছে।'
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ তুঙ্গে
যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মমতাবালা। এবং পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর কথায়, 'আমি গাইঘাটা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছি। কারণ, শান্তনু ঠাকুর তার গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে আমার ঘরে ঢোকার চেষ্টা করেছে।'