রামনবমীতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা জ্ঞাপন করেছেন। একটি বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, যারা রামনবমীর জন্য পতাকা বিক্রি করছেন তারাও তাঁরাও তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। বিজেপি চায় ভগবান রাম এবং ধর্মকে তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য ব্যবহার করা। কিন্তু আমরা আমাদের কাজের ভিত্তিতে জনগণের সমর্থন চাই। এটাই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য। ধর্ম তাদের ঢাল। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া। যখন মিছিল আপনার এলাকা দিয়ে যাবে, ভগবান রামের কাছ থেকে আশীর্বাদ নেবেন। তবে নিশ্চিত করুন এইবার বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। তাদের প্রতারণার শিক্ষা দিন। যা তারা ২০১৯ সাল থেকে সবার সঙ্গে করছে।
উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পর আজ প্রথম রামনবমী। বুধবার সকালে টুইটে সকলকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে টুইটে সকলকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সকলকে শান্তি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বাংলার বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রা শুরু হয়েছে। নিউটাউনে রামনবমীর অনুষ্ঠানে শামিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন জায়গায় শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে।
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে ধুমধাম করে রামনবমী পালন হচ্ছে। এই রামনবমীকে কেন্দ্র করে গত বছর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। ওই অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর রামনবমীর শোভাযাত্রার রুট বদলের আবেদন করে রাজ্য সরকার। আদালত জানিয়েছে, ২০০ লোকের বেশি শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না। রাজ্য পুলিশকে মিছিল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে না পারলে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইতে পারে রাজ্য।
এদিকে, এদিন জরুরি পরিষেবা ছাড়া রাজ্যে সমস্ত সরকারি অফিস ছুটি থাকবে। গোটা দেশের কাছে প্রতিবারের তুলনায় এবারের রামনবমী যেন একেবারেই অন্যরকম। রামভক্তদের চোখ অযোধ্যার দিকেই। আর এবারের রামনবমীতে রামলালার কপাল উজ্জ্বল হবে সূর্য তিলক।