এযেন একেবারে উলট পুরাণ। বরাবর তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এসেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই লকেটকেই নিজের সংসদীয় এলাকায় দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। এই ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
জানা যাচ্ছে মঙ্গলবার নিজের সংসদীয় এলাকা হুগলির পান্ডুয়ায় যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পান্ডুয়ার পাঁচগড়া গ্রামে সাংগঠনিক বৈঠকও করেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের হুগলি জেলার সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় নিজেও। বৈঠক শেষে লকেট চট্টোপাধ্যায় গাড়িতে উঠতেই একদল বিজেপি কর্মী রাস্তা আটকে দাঁড়ান। এরপর স্থানীয় সাংসদের গাড়ি আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ প্রদর্শন।
স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবি এদিন বৈঠকের পর পাঁচগড়ার একটি কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সাংসদ তা না করাতেই রাস্তা আটকে দাঁড়ান দলীয় কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে সাংসদের গাড়ি বের হওয়ার রাস্তা করে দেয়।
তবে এই প্রথম নয় আগেও একবার পান্ডুয়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ। সেবার সাংসদ হওয়ার পর চিনাবাসুদেবপুরে এসেছিলেন লকেট। এলাকার একটি বেহাল রাস্তা ও উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কারের দাবিতে সেবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা লকেটের কাছে ওই উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিদর্শনে যাওয়ার দাবি জানায়। সেবারও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়। শেষমেশ বিক্ষোভকারীরা সাংসদকে স্মারকলিপি দেন।
এদিনের বিক্ষোভের কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন হুগলির সাংসদ। রাত হয়ে যাওয়াতেই কালী মন্দিরে যেতে পারেননি বলে জানান লকেট। তবে খুব শীঘ্রই তিনি ফের এলাকায় আসবেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ। এদিকে ২০২১ সালে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বুথ স্তর পর্যন্ত তাঁদের সংগঠনকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারাও ওয়ার্কআউট শুরু করে দিয়েছেন। এই অবস্থায় নিজের সাংসদ এলাকায় বিজেপি সাংসদের দলীয় কর্মীদের দ্বারা হেনস্থা শাহ-নাড্ডাদের কপালে চিন্তার ভাজ ফেলল তাতে কোনও সন্দেহ নেই।