বীরভূমে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বানভাসি এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সেখানে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঘোষণা করেন, মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। আগামী ২-৩ দিন ভারী বর্ষার কারণে ফের জলস্তর বাড়তে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বন্যায় ২৮ জন মারা গিয়েছেন। তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।" এছাড়া, এদিন ফের বলেন, "বিনা চিকিৎসায় যে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। হয়তো অর্থ নগন্য। কিন্তু পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের চেষ্টা।"
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "গ্রামীণ রাস্তায় গ্রামীণ অঞ্চলের রাস্তা যা ভেঙে গিয়েছে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণটাই খরচ হবে। এমপি খাতের এক কোটি টাকা স্কুল মেরামতি, আর চার কোটি টাকা রাস্তা মেরামতিতে খরচ হবে। বাকি আমরা পঞ্চায়েত দফতর থেকে সার্ভে করে দেখে নেব। যতটা সম্ভব করতে পারব।"
কেন্দ্রকে বিঁধে তিনি এদিন বলেন, "গ্রামীণ রাস্তায় গ্রামীণ অঞ্চলের রাস্তা যা ভেঙে গিয়েছে, বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের জন্য বরাদ্দ টাকা সম্পূর্ণটাই খরচ হবে। এমপি খাতের এক কোটি টাকা স্কুল মেরামতি, আর চার কোটি টাকা রাস্তা মেরামতিতে খরচ হবে। বাকি আমরা পঞ্চায়েত দফতর থেকে সার্ভে করে দেখে নেব।"
গ্রামীণ আবাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, '১১ লক্ষ টাকা ডিসেম্বরে দেওয়া হবে। তিন বছর কেন্দ্র গ্রামীণ আবাসের কোনও টাকা দেয়নি। তাছাড়াও ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা পাই। প্রতি বছর ডিভিসি জল ছাড়ায় ম্যান মেড ফ্লাড হয়। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে আমাদের চিন্তা বাড়ে। বাংলার বর্ষায় বাংলায় বন্যা হয় না। ৯৯ সালে আমি তখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, আমার বাড়িতে কোমর সমান জল। আমরা সরকারে আসার পর থেকে প্রতিনিয়ত মনিটারিং করি। এই প্রথম আমরা দেখলাম এরকম। ১১ লক্ষ বাড়ির মধ্যে, ৬৫ হাজার বাড়ি আমি ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে করে দিচ্ছি। বন্যায় যে বাড়িগুলো সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত, ভেঙে গিয়েছে, আমার ১১ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার তালিকার মধ্যে সেই বাড়িগুলো রয়েছে কিনা, দেখে নিতে বলেছি। সার্ভে বর্ষা শেষে শুরু হবে।'
এছাড়া, মিডডে মিল, একশো দিনের টাকা-কাজ সমস্ত কিছু দেখবে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জিআর চলবে, যতক্ষণ না অবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে। এদিকে ফের ঘনাচ্ছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আগামী দু'দিন ভারী বর্ষার পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে আবারও বানভাসী হতে পারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি।