রাজ্যে উর্ধ্বমুখী ডেঙ্গি আক্রান্তের গ্রাফ। বৃষ্টির সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে ও যার জেরে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বর্তমানে রাজ্য তথা গোটা দেশেই বাড়ছে মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিশ্বে পোকামাকড়ের কারণে মৃত্যুর ক্ষেত্রে, মশাবাহিত রোগে মারা যাওয়ার পরিমান সবচেয়ে বেশি। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ হয়। এর মধ্যে স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে হয় ডেঙ্গি।
ডেঙ্গি কেন ছড়ায়?
বর্ষাকালে নর্দমায় নোংরা জল জমে মশার বংশবৃদ্ধি হয়। আর সেই মশার কামড়েই মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করেন। ডেঙ্গির মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা হয় হাড় ও পেশিতে। দুর্বল হয়ে পড়ে শরীর।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের উপায়
যেকোনও রোগ থেকে বাঁচার সঠিক উপায় হলো আক্রান্ত হওয়ার আগেই নিজেকে রক্ষা করা। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গি থেকে কীভাবে রক্ষা পাওয়া যাবে। ডেঙ্গি থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভাল উপায় হল মশাকে বাড়ি থেকে দূরে রাখা। এর জন্য মশা প্রতিরোধী ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কারও কারও অবশ্য ক্রিমে অ্যাল্যার্জি হয়। সেক্ষেত্রে তাঁরা মশারি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া মশা নিধনের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস, যেমন ব্যাট-রিফিল ইত্যাদিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ঘর ও চারপাশের পরিবেশ। এক্ষেত্রে জলে কয়েক ফোঁটা সিট্রোনেলা এবং লেমনগ্রাস নির্যাস মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করুন। বাড়ির চারপাশে, ফুলের টবে বৃষ্টির জল জমতে দেবেন না। বাড়ির ছাদে থাকা ট্যাঙ্ক বন্ধ রাখুন। আর যদি তীব্র জ্বর এবং গায়ে ব়্যাশের মতো উপসর্গ দেখেন তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
আরও পড়ুন - 'আমি ডক্টরেট-MBA-পরিবারে সবাই উচ্চশিক্ষিত, জামিন দিন,' আদালতে পার্থ