TMC 21 July Rally: লোকসভা হোক বা বিধানসভা তৃণমূলের হাতের ফাঁক দিয়ে গলে বেরিয়ে গেছে উত্তরবঙ্গ। উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্তঘাঁটি ভাঙতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে। পঞ্চায়েতের আগে অভিষেকের 'নবজোয়ার যাত্রা' থেকে একপ্রকার মাটি আঁকড়ে পড়েছিল তৃণমূল। মমতার বেশ কিছু সভাও করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই ফল তৃণমূলের ঝুলিতে আসা পঞ্চায়েত সাফল্য। বস্তুতঃ, আর একদিন পরই শুক্রবার তৃণমূলের ২১ শে জুলাইয়ের সভা। এই সাফল্যকে মাথায় রেখে এবং আগামী লোকসভাকে পাখির চোখ করে উত্তরবঙ্গ থেকে বিপুল জমায়েতের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবারই কলকাতা পৌঁছেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যে ধর্মতলায় তৃণমূল শহিদ দিবসে যোগ দিতে সুদূর উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে আসছে শতাধিক দলীয় সদস্য ও সমর্থকেরা। ট্রেনেই কয়েকশ কর্মী আসছেন শিয়ালদা ও হাওড়ার উদ্দেশে। আগামী লোকসভায় উত্তরের সংখ্যালঘু, রাজবংশী, চা বাগানের ভোট পেতে মরিয়া চেষ্টায় তৃণমূল।
আগামিকাল থেকে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও জেলা থেকে যে সমস্ত কর্মী সমর্থকরা হাওড়ায় আসবেন তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে উত্তর হাওড়ার শ্যাম গার্ডেনে। সেখানেই তারা রাত্রিবাস করবেন। শুক্রবার ২১-শে জুলাই কালে রওনা দেবেন ধর্মতলার উদ্দেশে। ২ দিনাজপুর থেকে গড়ে প্রতিটি ব্লক থেকে ৫ হাজার লোক কলকাতার সমাবেশে হাজির হওয়ার কথা।
বুধবারই প্রচুর সংখ্যক কর্মী-সমর্থকেরা এসে পৌঁছন হাওড়া স্টেশনে। তাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, হাওড়া জেলা সদর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৈলাস মিশ্র ও অন্যান্যরা। আজ আগত সমস্ত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বাসে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেন্ট্রাল পার্কে। সেখানেই তাদের জন্য থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।